আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত দুইশ’ বছরে একের পর এক জায়গা বদলেছে ‘কার্বন ভরকেন্দ্র’। শুরুটা হয় ব্রিটেনে। এরপর আস্তে আস্তে ঘাঁটি গাড়ে যুক্তরাষ্ট্রে। সবশেষে সেখান থেকে সরে এখন স্থায়ী হয়েছে চীনে। অর্থাৎ কার্বন নিঃসরণে এই মুহূর্তে বিশ্বের ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে এশিয়ার দেশটি।
জলবায়ু নিয়ে দ্য গার্ডিয়ানের এক বিশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে হুমকির মুখে পৃথিবী। এর বড় কারণ অধিক পরিমাণে কার্বন নিঃসরণ। শিল্পোন্নত দেশগুলোই যার জন্য দায়ী।
প্রতিবেদন মতে, ব্যাপক শিল্পায়নের ফলে উনিশ শতকের শুরুর দিকেই সর্বাধিক কার্বন নিঃসরণকারী দেশ হয়ে ওঠে ব্রিটেন। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সেই ভরকেন্দ্র আস্তে আস্তে তার জায়গা বদলেছে। বিংশ শতকের শুরুর দিকে ব্রিটেনের সঙ্গে যোগ হয় ইউরোপের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশগুলো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে ইউরোপকে সরিয়ে কার্বন ভরকেন্দ্র হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ২০৬০ সাল নাগাদ কার্বন নিঃসরণ ‘শূন্যে’ নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি (প্রতিবছর ১১ হাজার ২৫৬ মেগা টন, প্রতি মেগা টনে ১০ লাখ টন) কার্বন নিঃসরণ করে দেশটি।
বিশ্লেষকরা বলছে, আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ এই পরিমাণেই কার্বন নিঃসরণ করবে চীন। এরপর তা আস্তে আস্তে কমতে থাকবে। আগামী এক দশকে আফ্রিকার দেশগুলোতেও কার্বন নিঃসরণ আরও কিছু বাড়বে।
২০২১ সালে ধনী দেশগুলোর কার্বন নিঃসরণ বেড়েছে : গত বছরের চেয়ে এ বছর ২০টি ধনী দেশে কার্বন নিঃসরণ আরও বেড়েছে। নতুন এক গবেষণা রিপোর্ট মতে, জি-২০ভুক্ত দেশগুলোতে এই নিঃসরণ ৪ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছে।
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে এটা ৬ শতাংশ কমে গিয়েছিল। এর মধ্যে চীন, ভারত ও আর্জেন্টিনা-এই তিনটি দেশ তাদের ২০১৯ সালের নিঃসরণ স্তর ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে।
সান নিউজ/এনকে