আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আইএস জঙ্গিদের মোকাবেলার ক্ষেত্রে আমেরিকার সহযোগিতার কোনো প্রয়োজন তাদের নেই এবং আইএস দমনে আফগানিস্তান ক্ষমতা রাখে বলে জানিয়েছেন দেশটির সরকার। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেসকে দেয়া সাক্ষাতকারে জাতিসংঘে আফগানিস্তানের প্রস্তাবিত প্রতিনিধি সোহেল শাহিন এসব কথা বলেছেন।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর আইএস জঙ্গিরা উত্তরাঞ্চলীয় কুন্দুজ শহরে শিয়া মসজিদে হামলা চালানোসহ আরো বেশ কয়েকটি বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। শিয়া মসজিদে হামলায় অন্তত ৩০০ মুসল্লি হতাহত হয়েছে।
জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছিলেন, আইএস জঙ্গিদেরকে তিনি আফগানিস্তানের জন্য তেমন একটা হুমকি মনে করেন না। তার এ বক্তব্যের পর দিনই কুন্দুজে শিয়া মসজিদে হামলার ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয়েছে আইএস জঙ্গিরা এখনো সেদেশের জনগণ বিশেষ করে শিয়া মুসলমানদের জন্য বিরাট হুমকি হয়ে আছে। তাদের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করা এবং সাম্প্রদায়িক ফেতনা ও দ্বন্দ্ব-সংঘাত বাধানো।
এর আগে সৌদি সমর্থিত সন্ত্রাসী আইএস জঙ্গিরা ইরাক ও সিরিয়ায় তথাকথিত ইসলামি খেলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি বাস্তবায়নের জন্য অনেক বছর ধরে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছিল। কিন্তু ইরাক ও সিরিয়ায় ব্যর্থ হওয়ার পর আইএস জঙ্গিরা এখন আফগানিস্তান ও পাকিস্তানসহ আরো অনেক দেশে তৎপরতা চালাচ্ছে।
এছাড়া আইএস জঙ্গিরা ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইনসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরো অনেক দেশেও সক্রিয় রয়েছে। বলা যায় তারা ওই অঞ্চলে প্রধান সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে।
আফগানিস্তানের এমন সময় আইএস জঙ্গিদের দমনে আমেরিকার কাছ থেকে সহযোগিতা না নেয়ার কথা জানিয়েছে যখন তারা স্বীকৃতি আদায়ের জন্য হোয়াইট হাউজের সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় কতদিন পর্যন্ত তারা নিজেদের অবস্থানে অটল থাকতে পারবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
সান নিউজ/এমকেএইচ