আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের কেরালার মল্লপুরমে অন্তঃসত্ত্বা হাতির মৃত্যুর ঘটনায় তিন সন্দেহভাজন ঘাতককে চিহ্নিত করেছে তদন্তকারী দল। শুক্রবার (৫ জুন) এসব কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা
এদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের কথা জানিয়ে আরেক সংবাদ মাধ্যম এই সময় জানাচ্ছে, বিস্ফোরকের কারণেই মারা গেছে ওই হাতিটি। মুখের ভেতরে বাজি ফাটার কারণে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল তার মুখ আর গলা। এ অবস্থায় ১৪ দিন নদীর পানিতে দাঁড়িয়েছিল গর্ভবতী হাতিটি। এসময় পানি ঢুকে ফুসফুসের কাজ করা বন্ধ হয়ে যাওয়াতেই তার মৃত্যু হয়।
এছাড়া রিপোর্টে আরও জানানো হয়, বোমা ফেটে যাওয়ায় তার মুখের ভেতরে ভয়ানক ক্ষত সৃষ্টি হয়। ওই ক্ষত থেকে মুখের ভেতরে সেপসিস হয়ে গিয়েছিল।
জানা যায়, মৃত হাতিটি কেরালার সাইলেন্ট ভ্যালি জাতীয় উদ্যানে থাকত। সেখান থেকে খাবারের খোঁজে পলক্কড় জেলার গ্রামে যায় সে। সেখানে বাজি ভরা ফল খেয়ে তার নিচের চোয়াল ও জিভ ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। এ অবস্থায় ভেলিয়ার নদীতে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল হাতিটি।
বন বিভাগ প্রশিক্ষিত হাতির সাহায্যে তাকে তীরে উঠানোর অনেক চেষ্টা করেও সফল হয়নি। দীর্ঘ ১৪ দিন পানির মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে সেখানেই মারা যায় হাতিটি।
ময়না তদন্তের রিপোর্ট বলছে, বেশ কয়েক দিন আগেই ওই আঘাত পেয়েছিল হাতিটি। ফলে সে ভাল করে খেতে পারেনি। চেহারাও শীর্ণ হয়ে গিয়েছিল।
কেরালার ওই এলাকায় খেতের ফসল বুনো শুয়োরের হাত থেকে বাঁচাতে খাবারে বিস্ফোরক ভরে রাখার প্রচলন আছে। এ নিয়ে আগেও বহু বার সমালোচনা করেছেন পরিবেশবাদীরা।
এদিকে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন, হাতি নিধনে জড়িতদের গ্রেপ্তারের করার জন্য সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, তিন জন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করেছেন তদন্তকারীরা। কেরালা পুলিশের ১০ জন সদস্যের একটি টিম এই ঘটনার তদন্ত করছে। তারা মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে হাতিটির গতিবিধির একটি চিত্র তৈরির চেষ্টা করছে।
আর ভারতের কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ‘বাজি খাইয়ে খুন করা ভারতীয় সংস্কৃতি নয়। দোষীদের গ্রেপ্তার করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়া হবে।’ এ নিয়ে কেরালার কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।
সান নিউজ/ আরএইচ