ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে প্রচারণামূলক বেলুন বার্তা পাঠানোর বহু পুরনো প্রথা বন্ধ করার পরিকল্পনা নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। উত্তর কোরিয়া হুমকি দিয়েছে যে, এই বেলুন পাঠানো বন্ধ না হলে বৈরিতা বন্ধের লক্ষ্যে নেয়া সামরিক চুক্তি তারা খারিজ করে দেবে।
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আন্দোলনকর্মীরা বহু বছর ধরেই উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার রেকর্ড, এবং দেশটির পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার সমালোচনা করে সীমান্তের অপর পারে বেলুনে বাঁধা বার্তা পাঠিয়ে আসছে। অবশ্য অতীতে অনেকে আবার বেলুনে বেঁধে ডলারের নোট এবং চকোলেটও পাঠিয়েছে।
কিন্তু উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের ছোট বোন কিম ইয়ো-জং হুমকি দিয়ে বলেছেন, উত্তর কোরিয়া থেকে দেশত্যাগী, তার ভাষায় সেই ''নিকৃষ্ট মানুষগুলো'' সম্প্রতি এই বেলুনগুলো ছাড়ছে এবং দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের উচিত হবে এটা বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া।
অনেক বছর ধরেই দক্ষিণ কোরিয়ার অ্যাকটিভিস্টরা এবং উত্তর থেকে দক্ষিণে পালানো ব্যক্তিরা উত্তর কোরিয়ার প্রয়াত নেতা কিম জং আনের সমালোচনা করতে এই পথ ব্যবহার করত।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকার বলছে এই বেলুন দুই অংশের মধ্যে ''উত্তেজনা'' বাড়াচ্ছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি গোষ্ঠী বলছে তারা এ কাজ থামাবে না।
২০১৪ সালে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা গুলি করে ওই বেলুনগুলো নামানোর চেষ্টা করত, যার ফলে সীমান্তে দু পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনাও ঘটেছে।
উত্তর কোরিয়াও অতীতে হিলিয়াম বেলুনে তাদের লিফলেট পাঠিয়েছে দক্ষিণে। যেসব লিফলেটের মাধ্যমে তারা "বৈরি আচরণ বা নির্বোধের মত পদক্ষেপ" বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।