আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল নেওয়ার পর দেশটির হাজারা জনগোষ্ঠীর ১৩ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) প্রকাশিত অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। এর আগে আগস্টে প্রকাশিত আরেক প্রতিবেদনে অ্যামনেস্টি আফগান সরকারের বিরুদ্ধে জুলাইয়ে গজনি প্রদেশে হাজারা জনগোষ্ঠীর ৯ সদস্যকে হত্যার অভিযোগ এনেছিলেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড।
জানা গেছে, আফগানিস্তানের দেকুন্দি প্রদেশে যে ১৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীসহ দুই নিরীহ বেসামরিকও আছেন। তারা মূলত ঘটনার শিকার।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যামেনেস্টি বলেছে ১৩ জনের মধ্যে নয় জন ছিলেন সাবেক সরকারের সৈনিক। যারা বিদ্রোহীর গোষ্ঠীর কাছে আত্মসমর্পণও করেছিলেন। আত্মসমর্পণের পরেও তাদের হত্যা করার বিষয়টিকে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে তুলনা করেছে সংস্থাটি।
অভিযোগ অস্বীকার করে আফগান বলছে, অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন কেবল ঘটনার একটি দিকই দেখাচ্ছে। হাজারা আফগানিস্তানের তৃতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী। তারা মূলত শিয়া মুসলিম।
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৩০ অগাস্ট প্রায় ৩০০ তালেবান যোদ্ধা দাহানি কাল গ্রামের কাছে একটি এলাকায় যায়, যেখানে আগের সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সদস্য তাদের পরিবার নিয়ে থাকছিলেন। যোদ্ধাদের আসার খবর পেয়ে আগের সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর ওই সদস্যরা পরিবার-পরিজন নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও ধরা পড়ে যান। যোদ্ধারা তাদের লক্ষ্য করে গুলিও ছুড়ে।
এসময় সাবেক এক সৈন্য পাল্টা গুলি ছুড়লে এক যোদ্ধা নিহত ও আরেকজন আহত হয়। গোলাগুলির মধ্যে পড়ে আগের সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্য প্রাণ হারান। এরপর আগের সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর নয় সদস্য আত্মসমর্পণ করলেও যোদ্ধারা তাৎক্ষণিকভাবে তাদেরকে হত্যা করে।
আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কারী সৈয়দ খোস্তি বিবিসিকে বলেন, "অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন একপাক্ষিক। আমরা সব আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আফগানিস্তানে এসে এ বিষয়ে একটি যথাযথ তদন্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি।
সান নিউজ/এমকেএইচ