আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু হওয়া কৃষ্ণাজ্ঞ জর্জ ফ্লয়েড করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন বলে চূড়ান্ত ময়না তদন্তের রিপোর্টে জানা গেছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফ্লয়েডের শরীরে আফিম জাতীয় মাদকের উপস্থিতিও পাওয়া গেছে।
তবে কৃষ্ণাজ্ঞ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু শ্বাসরোধেই হয়েছে এটা নিশ্চিত। খবর এনবিসি নিউজের।
বুধবার (০৩ জুন) জর্জ ফ্লয়েডের চূড়ান্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। হেনেপিন কাউন্টি মেডিকেল এক্সামিনারস অফিস থেকে জানানো হয়, গত ৩ এপ্রিল করোনাভাইরাস ধরা পড়েছিল জর্জ ফ্লয়েডের শরীরে। তবে এতদিন পরও তার কোনও ধরনের উপসর্গ ছিল না। মৃত্যুর সময়ও উপসর্গবিহীন ছিলেন তিনি।
তবে ফ্লয়েডের মৃত্যুতে করোনার প্রভাব ছিল এমন কোনও প্রমাণ পাননি পরীক্ষকরা। চূড়ান্ত ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জর্জ ফ্লয়েডের হৃদরোগ ছিল, তার শরীরে ফেনটানাইল ও মেথামফেটামাইনের উপস্থিতি দেখা গেছে। ফ্লয়েডের ফুসফুস সুস্থ থাকলেও হৃদপিণ্ডের ধমণী সরু হয়ে এসেছিল। এক নোটে বলা হয়েছে, আফিমজাতীয় ব্যাথানাশক ফেনটানাইলের প্রভাবে শ্বাসতন্ত্রে গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এর আগে গত সপ্তাহে প্রাথমিক ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, জর্জ ফ্লয়েডকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এরপর ফ্লয়েডের পরিবারের পক্ষ থেকেও ময়নাতদন্ত করা হয়। সেই রিপোর্টে বলা হয়, শ্বাসরোধে মৃত্যু হয়েছে ফ্লয়েডের। এসময় এটিকে পরিষ্কার হত্যাকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করেন এই মামলায় ফ্লয়েডের পরিবারের আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ মে সন্ধ্যায় প্রতারণার অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এসময় এক পুলিশ কর্মকর্তা প্রকাশ্যে রাস্তায় মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে গলা চেপে ধরেন জর্জের। এভাবে অন্তত আট মিনিট তাকে মাটিতে চেপে ধরে রাখা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের করা এই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভে সরব হয়ে ওঠেন সাধারণ মার্কিনীরা।
সান নিউজ/ আরএইচ