আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সমর্থনে প্রায় এক হাজার মানুষ সমাবেশ করেছে। রাজধানী কাবুলের উত্তরের বড় একটি মাঠে স্থানীয় সময় রোববার (৩ অক্টোবর) জড়ো হন তারা।
তবে এই সমাবেশে নারীদের উপস্থিতি দেখা যায়নি। শুধুমাত্র পুরুষরা এতে অংশ নেন। কোহদামান পৌরসভার ওই সমাবেশে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কর্মকর্তারা বক্তব্য রেখেছেন।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো রাজধানীতে এ ধরনের সমাবেশের আয়োজন করা হলো। সাত সপ্তাহ আগে দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
সমাবেশে থাকা লোকজন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সমর্থনে স্লোগান দিচ্ছিলেন। এর আগে নারীরাও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সমর্থনে সমাবেশ করেছিলেন।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকেই লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছিল। এর আগে যখন ১৯৯০ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত বিদ্রোহী গোষ্ঠী দেশের ক্ষমতায় ছিল তখন বেশ কঠোর নিয়ম জারি ছিল। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর পূর্বের শাসন ব্যবস্থা ফিরে আসে কিনা তা নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে। কিন্তু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে সবাইকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, তারা দেশের মানুষের জন্য কাজ করবে।
তবে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর শাসন শুরুর পর থেকেই দেশটিতে অর্থনৈতিক সংকটসহ বিভিন্ন ধরনের বিপর্যয় শুরু হয়েছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নানা ধরনের আশ্বাসের পরও নারীদের পড়াশোনা কার্যত বন্ধ রয়েছেই দেশটিতে। মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করাসহ বহু অভিযোগ উঠছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর তোপের মুখে পড়েছে দেশটির গণমাধ্যমগুলোও।
সম্প্রতি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নতুন সরকার গণমাধ্যমের ওপর ১১টি নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, মিডিয়া সেন্সরশিপের জন্যই এ নির্দেশনা। নতুন নির্দেশনা জারি হওয়ায় দেশটির গণমাধ্যমকর্মী, অধিকারকর্মীসহ সংশ্লিষ্টরা আতঙ্কিত বলে খবর পাওয়া গেছে।
সান নিউজ/এনকে