আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) থেকে পশ্চিমবঙ্গে পুরনো ভাড়াতেই চলবে বেসরকারি বাস-মিনিবাস। তবে ভাড়া বাড়ানোর দাবি থেকে বাসমালিক সংগঠনগুলি সরবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে। মালিক পক্ষদের একাংশ আবার ভাড়া বাড়িয়েই পথে বাস নামাতে চাইছেন। পরিবহণ দপ্তরের অনুমোদন ছাড়া যাত্রীদের থেকে বেশি ভাড়া নেওয়া যায় কি না, সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সচেতন নাগরিক মহলে। তবে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, কোনও মতেই ভাড়া বাড়ানো যাবে না।
ভাড়া বাড়ানো সংক্রান্ত বিষয়ে বুধবার (৩ জুন) মালিক পক্ষ আলোচনায় বসেছিল। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, মানুষের অসুবিধার কথা চিন্তা করে ধীরে ধীরে সব রুটে বাস নামানো হবে। তবে, এখনই ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে না। যদিও ভাড়া যে বাড়াতে হবে, তা-ও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে। ভাড়া কবে থেকে বাড়বে বা কত বাড়বে, সে বিষয়টি রেগুলেটরি কমিটির উপরে ছেড়ে দিয়েছেন বাস-মিনিবাস মালিকেরা।
জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের পক্ষে তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা এভাবে করোনার নাম করে ভাড়া বাড়াচ্ছি না। তবে কাল থেকে ধীরে ধীরে বাস নামবে। সরকার রেগুলেটরি কমিটি করেছে। তারা ভাড়া বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্ত তাদের উপরে ছেড়ে দিচ্ছে। আপাতত পুরনো ভাড়াতেই পথে নামছে বাস।”
প্রথমে ২০ জন যাত্রী নিয়ে বাস চালুর অনুমতি মিললেও, প্রাথমিক ভাবে তাতে নারাজ ছিলেন মালিকেরা। দফায় দফায় বৈঠকের পরেও ভাড়া বাড়ানো ছাড়া কোনও পথই খুঁজে পাচ্ছিলেন না তারা। যেভাবেই হোক ভাড়া বৃদ্ধির পক্ষে ছিলেন মালিক সংগঠনগুলি। রাজ্যও কড়া অবস্থান নিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল, এই কঠিন পরিস্থিতিতে কোনও মতেই ভাড়া বাড়ানো যাবে না। ওই বাস মালিকদের যুক্তি, লোকসানে গাড়ি চালানো সম্ভব নয়। কয়েকটি রুটে ‘কোভিড-১৯ স্পেশাল ফেয়ার’-এর বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, করোনা শঙ্কা মাথায় নিয়েই ৮ জুনের মধ্যে ১ হাজার ২০০ বাস নামানো হবে কলকাতার পথে।