আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করাও এখন থেকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হবে নিউজিল্যান্ডে। এমন বিধান রেখে বৃহস্পতিবার একটি নতুন নিরাপত্তা আইন পাস করা হয়েছে দেশটিতে।
একজন ব্যক্তির দ্বারা সন্ত্রাসী হামলার শঙ্কা বাড়ার মধ্যেই নিউজিল্যান্ড তার আইনগুলো ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু অকল্যান্ডে হামলার ঘটনার পরই নতুন আইন প্রণয়ণের তোড়জোড় শুরু হয়।
নিউজিল্যান্ডের বিচারমন্ত্রী ক্রিস ফাফই বলেন, “সন্ত্রাসের ধরন বদলেছে। সংঘবদ্ধ হামলার চেয়ে একজন হামলা করতে পারে, বিশ্বে এখন এমন মানুষের সংখ্যা অনেক।”
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই দেশগুলোর আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে নিউজিল্যান্ডের নতুন এই পদক্ষেপ।
নতুন এই আইনের বলে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য অস্ত্র প্রশিক্ষণের স্থানে পুলিশকে বিনা পরোয়ানায় প্রবেশ, তল্লাশী এবং নজরদারির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
গত আগস্টে অকল্যান্ডের একটি শপিং মলে ছুরি হামলায় সাতজন আহত হন। পরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন হামলাকারী শ্রীলঙ্কান নাগরিক আথিল মোহাম্মদ সামসুদিন।
তিন বছর কারাভোগের পর জুলাইতে মুক্ত হয়েই হামলার ঘটনা ঘটান ওই ব্যক্তি। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা অর্ডানের দাবি, ইসলামিক স্টেটের দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন সামসুদিন।
একটি ছুরি সংগ্রহ এবং ইসলামিক ভিডিও পাওয়ার পর ২০২০ সালে সামসুদিনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়।
সামসুদিন নিউজিল্যান্ডের সন্ত্রাসবিরোধী আইন লঙ্ঘন করেননি বলে সেই সময় একজন বিচারক রায় দিয়েছিলেন। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হলেও ২৪ ঘণ্টা পুলিশের নজরদারিতেই ছিলেন তিনি।
সূত্র : রয়টার্স
সাননিউজ/ জেআই