ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
আমেরিকার মিনিয়াপোলিসে পুলিশের নির্মমতার শিকার কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে দেশটির চল্লিশটি শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় প্রশাসনের মধ্যে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে।
গেল শুক্রবার (২৯ মে) রাতে বিক্ষোভের পর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা হিসাবে গোয়েন্দা দপ্তর থেকে কিছুক্ষণের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসের কাছে মাটির নিচের একটি বাঙ্কারে সরিয়ে নেয়া হয়।
সেসময় হোয়াইট হাউসের বাইরে শত শত লোক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ জানাচ্ছিল। তারা পাথর ছুঁড়ছিল এবং পুলিশের দেয়া প্রতিবন্ধকতা সরানোর চেষ্টা করছিল।
হোয়াইট হাউসের কাছে বিক্ষোভকারীরা একটি ঐতিহাসিক গির্জায় আগুন দিলে ওয়াশিংটন ডিসি-র পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবর থেকে জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে প্রায় এক ঘণ্টা ওই বাঙ্কারে লুকিয়ে রাখা হয়। তবে ট্রাম্পের স্ত্রী ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প এবং তাদের ১৪ বছরের ছেলে ব্যারনকেও বাঙ্কারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কোনরকম সন্ত্রাসী হামলার সময় প্রেসিডেন্টকে জরুরিকালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসাবে সরিয়ে নেবার জন্যে এই বাঙ্কার তৈরি করা হয়। সাধারণত বড় কোনো সন্ত্রাসী হামলার সময় হোয়াইট হাউজের পূর্ব উইংয়ের নীচে প্রেসিডেন্ট এবং প্রশাসনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য এই বাঙ্কার ব্যবহৃত হয়।
জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হোয়াইট হাউসের বাইরে যে বিক্ষোভ হয়েছে তাতে নাইন-ইলেভেন হামলার পর প্রথমবারের মত আমেরিকান প্রেসিডেন্টের বাসভবনের জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের ঘনিষ্ঠ একজন রিপাবলিকান সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্কাই নিউজকে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের বাইরে বিক্ষোভের দৃশ্য ট্রাম্পকে বিচলিত করে দিয়েছিল। ট্রাম্পকে তড়িঘড়ি বাঙ্কারে সরিয়ে নেবার জন্য গোয়েন্দা দপ্তরের এই আকস্মিক পদক্ষেপ থেকে হোয়াইট হাউসের ভেতর অস্বস্তির বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে।
গোটা সপ্তাহ জুড়ে বিক্ষোভকারীদের শ্লোগান শোনা গেছে হোয়াইট হাউসের বাইরে। বিক্ষোভকারীদের দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও হিমশিম খেতে হয়েছে।