আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভের আকার দিন দিন বড়ই হচ্ছে। এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসের বাইরে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হন। সেখানে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।
সোমবার (০১ জুন) বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। হোয়াইট হাউসের বাইরে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের হাতে প্রতিবাদী নানা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
বিক্ষোভকারীরা মুহুর্মুহু স্লোগান দিচ্ছিলেন। তারা আগুন জ্বেলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের বলপ্রয়োগ হটিয়ে দেয়। তারা বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। ব্যবহার করে সাউন্ড গ্রেনেড। এ পরিস্থিতিতে হোয়াইট হাউসের বাইরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
যুক্তরাষ্ট্রে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার হাতে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশটির শহরে শহরে ছড়িয়ে পড়েছে জনরোষ। বিক্ষোভ থামাতে ২৮টির বেশি শহরে কারফিউ জারি এবং ১২টি অঙ্গরাজ্যে জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিক্ষোভকারীদের সতর্কও করেছেন।
এসব বিধি অমান্য করেই শনি ও রোববার হাজার হাজার মানুষ রাজপথে নেমে এসে নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানান। অনেক জায়গায় লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে।
জাল নোট ব্যবহারের অভিযোগে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনের বাসিন্দা জর্জ ফ্লয়েড (৪৬) নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে গত সোমবার আটক করে মিনোসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরের পুলিশ। আটকের পর পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চৌভিন ফ্লয়েডের ঘাড় হাঁটু দিয়ে সড়কে চেপে ধরলে তিনি মারা যান।
এই ঘটনার ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়লে রোষে ফেটে পড়েন ক্ষুব্ধ জনতা। পরে ডেরেকসহ চার পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ডেরেককে গ্রেপ্তারের পর তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
সান নিউজ/ আরএইচ