আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চলতি বছরের টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন আফগানিস্তানের মোল্লা আবদুল গনি বারাদার। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এই ১০০ ব্যক্তির প্রোফাইল প্রকাশ করেছে টাইম।
বারাদারের পরিচিতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে সদ্য বিজয়ী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন তিনি। এছাড়া বিদ্রোহী গোষ্ঠীর প্রভাবশালী সামরিক নেতাও তিনি। টাইমের জন্য বারাদারের এ পরিচিতিমূলক লেখা লেখেন পাকিস্তানি সাংবাদিক আহমেদ রশিদ।
টাইম বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সমঝোতায় মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন বারাদার। আর এ সমঝোতার ওপর ভিত্তি করেই আফগানিস্তানের ক্ষমতার মসনদ দখল করতে পেরেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। বলা হয়ে থাকে, বিদ্রোহী গোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে থাকেন বারাদার।
আফগানিস্তানের সাবেক সরকারি কর্মীদের জন্য যে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে, সেই সিদ্ধান্তও তিনি নেন। কাবুলে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর প্রবেশের সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়াতে তার ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য।
এছাড়া প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর যোগাযোগ ও সফরেও তিনি ছিলেন মুখ্য ভূমিকায়। আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে যারা কাজ করবেন, তাদের অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বারদারকে। তবে একটি প্রশ্ন তাকে নিয়ে থাকছে, তা হলো আফগানিস্তান থেকে মার্কিনদের বিদায়ে যিনি কাজ করেছেন, তিনি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করতে পারবেন কি না। তালেবান যাত্রার শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন বারাদার।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ভগ্নিপতি তিনি। আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, উরুজগান প্রদেশে ১৯৬৮ সালে বারাদারের জন্ম। তিনি বেড়ে উঠেছেন আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহারে। ১৯৮০ দশকে অন্যান্য নেতার মতো তিনিও মুজাহিদিনে যোগ দেন। সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনারা ফিরে গেলে তিনি কান্দাহারে ফিরে যান এবং মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর ১৯৯০ দশকের শুরুতে বিদ্রোহী গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠায় মোল্লা ওমরকে সাহায্য করেন তিনি।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন এ সরকারে উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন বারাদার। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে হামলা চালালে দেশ ছেড়ে পালান তিনি। এরপর ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন বারাদার। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধেই পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পান।
সান নিউজ/এমকেএইচ