আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠন নিয়ে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতাদের মধ্যে বড় আকারের বিরোধের খবর বেরিয়েছে। সিনিয়র বিদ্রোহী নেতাদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে মোল্লা আবদুল গনি বারাদার এবং মন্ত্রিসভার এক সদস্যের সঙ্গে এই বিরোধ হয়েছে।
মূলত নতুন সরকারের পদ-পদবি নিয়ে সংগঠনটির সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গানি বারাদার ও মন্ত্রিসভার এক সদস্যের মধ্যে এ দ্বন্দ্ব হয়। যদিও বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের পক্ষ থেকে এ ঘটনা প্রকাশ করা হয়নি।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীর দুই শীর্ষ নেতাকে কয়েক দিন ধরে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। তারা হলেন সর্বোচ্চ নেতা মোল্লা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং নতুন সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী মোল্লা আবদুল গানি বারাদার। তাদের অবস্থান নিয়ে এখন অনেকে সন্দিহান।
যদিও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মুখপাত্র সোহেল শাহীন এক টুইটে জানান, তাদের রাজনৈতিক দপ্তরের সাবেক প্রধান মোল্লা বারাদারের মৃত্যুর খবর পুরোপুরি ভুয়া ও ভিত্তিহীন।
গত দুই দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাওয়া গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতা এবং শুধু পুরুষদের নিয়ে গঠিত হয়েছে নতুন ইসলামিক আমিরাতের কেবিনেট।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীর একটি সূত্র বলছে, প্রেসিডেন্ট প্যালেসে বারাদারের সঙ্গে হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রভাবশালী নেতা খলিল উর-রহমান হাক্কানির বাকবিতণ্ডা হয়। খলিল বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সরকারের শরণার্থীবিষয়ক মন্ত্রী। কাতারে অবস্থানরত বিদ্রোহী গোষ্ঠীর এক জ্যেষ্ঠ নেতা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে এ ঘটনা ঘটে।
বারাদার ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের ক্ষমতার লড়াইয়ের প্রেক্ষাপটে আখুন্দকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সরকারের প্রধানমন্ত্রী করার বিষয়টিকে একটি সমঝোতার বিষয় বলে জানা যাচ্ছে।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিভিন্ন সূত্র বলছে, দ্বন্দ্বের অন্যতম কারণ হলো, সরকারের কাঠামো নিয়ে বারাদার অসন্তুষ্ট। এছাড়া বিদ্রোহী গোষ্ঠীরা আবার ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার পেছনে কার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি, সেটা নিয়েও বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
বারাদার মনে করেন, তার মতো ব্যক্তিরা, যারা কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছিলেন, তাদের কারণেই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ‘জয়’ হয়েছে। অন্যদিকে, হাক্কানি নেটওয়ার্কের সদস্যরা মনে করেন, যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াইয়ের মাধ্যমে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জয় নিশ্চিত হয়।
২০২০ সালে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতা বারাদারই সর্বপ্রথম যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছিলেন। এর আগে, বিদ্রোহী গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে দোহা চুক্তিতেও স্বাক্ষর করেন তিনি। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স
সান নিউজ/এনকে