সাননিউজ ডেস্ক: তিনি জীবনবিজ্ঞানের শিক্ষিকা। রয়েছে বাড়ি। পরিবারের অন্য সদস্য ও স্বজনরা প্রভাবশালী, তাদের বিপুল অর্থসম্পদও রয়েছে। স্বজনদের মধ্যে মন্ত্রীও রয়েছেন। এই নারীরও টাকা-পয়সার অভাব নেই। এরপরও স্বেচ্ছায় থাকেন রাস্তায় রাস্তায়। রাত্রিযাপন করেন রাস্তার মোড়ে মোড়ে।
তার গায়ে কখনো নতুন জামা-কাপড় দেখা যায় না। তার এমন জীবনযাপন নিয়ে পরিবার ও স্বজনরা আছেন বিপাকে। তার নাম ইরা বসু। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচাৰ্যর শালিকা। বুদ্ধদেব ভট্টাচাৰ্যর স্ত্রী মীরা ভট্টাচাৰ্যর এক বিবৃতি দেওয়ার পর শুরু হয় হইচই।
তিনি বিবৃতিতে বলেন, রাস্তার মোড়ে ফুটপাথে থাকা ছেঁড়া কাপড়ে ঘুরে বেড়ানো ইরা আমার বোন। সে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শালিকা। ইরা স্বেচ্ছায় এই জীবনযাপন বেছে নিয়েছে। সে এমনই, স্বেচ্ছাচারী। তার জন্য পরিবারের মান-সম্মান ধুলোয় মিশে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ইরা বসুর বাড়ি সল্টলেকের বি বি ৮৪ নম্বর প্লটে। সে দীর্ঘদিন প্রিয়নাথ বালিকা বিদ্যালয়ে জীবনবিজ্ঞানে শিক্ষকতা করেছে। তার টাকা-পয়সার অভাব নেই। কিন্তু কী কারণে ফুটপাথে থাকে সেটা জানি না।
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) ইরা বসুকে তুলে নিয়ে যায় মানসিক হাসপাতালের লোকেরা। এ ঘটনায় মনোচিকিৎসক রত্নাবলী রায় বলেন, রাস্তায় তো কতশত ভবঘুরে মানুষ রয়েছে, ফুটপাতে রাত্রিযাপন করে, তাদের বেলায় তো সরকারি এমন তৎপরতা দেখি না।
তিনি বলেন, ভারতীয় মানসিক স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী ইচ্ছের বিরুদ্ধে কাউকে মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া বেআইনি। ইরা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শালিকা হওয়ার কারণেই কি সরকারের এমন তৎপরতা?
সাননিউজ/এমআর