আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, “ইসলামি আমিরাত আফগানিস্তান এ ঘটনাকে ‘দোহা চুক্তির’ সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মনে করে এবং এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তান উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
আফগানিস্তানে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ঘোষিত অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীর নাম যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী কালো তালিকায় থাকার ঘটনাকে ‘দোহা চুক্তির’ লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি কাতারের রাজধানী দোহায় তাবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি সই করে যুক্তরাষ্ট্র। ওই চুক্তিতে আফগানিস্তান থেকে সকল মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দেয় ওয়াশিংটন।
গত মঙ্গলবার রাতে মোল্লাহ হাসান আখুন্দের নেতৃত্বে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নয়া অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ঘোষণা দেন জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ। তার পক্ষ থেকে ‘ইসলামি আমিরাত’ আফগানিস্তানের মন্ত্রিসভা ঘোষিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র জানায়, ওই মন্ত্রিসভায় কয়েক সদস্যের পাশাপাশি হাক্কানি পরিবারের সকল সদস্যের নাম ওয়াশিংটনের সন্ত্রাসবাদের কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মুখপাত্র মুজাহিদ এ সম্পর্কে আরও বলেছেন, হাক্কানি পরিবার ইসলামি আমিরাতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং তাদের আলাদা কোনও নাম বা সংগঠন নেই।
মুজাহিদ বলেন, দোহা চুক্তিতে কোনও ধরনের ব্যতিক্রম ছাড়া ইসলামি আমিরাতের সকল সদস্যকে স্বীকৃতি দিয়েছে আমেরিকা। কাজেই তাদের নাম জাতিসংঘ এবং আমেরিকার কালো তালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তালেবানের এ দাবি এখন পর্যন্ত ওয়াশিংটন মেনে নেয়নি।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী গত মঙ্গলবার যে মন্ত্রিসভা ঘোষণা করে তাতে এই গোষ্ঠীর নেতাদের বাইরে কারও নাম নেই। সমালোচকরা বলছেন,বিদ্রোহী গোষ্ঠী আফগানিস্তানে একটি অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠনের যে ঘোষণা দিয়েছিল, গঠিত সরকারে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি এবং এই সরকারে আফগানিস্তানের সকল জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নেই।
উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করে নেয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর পর দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন তারা।
সান নিউজ/এনকে