ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
নানা দুর্যোগ সামাল দিতে হচ্ছে ভারতকে। দিন দুয়েক আগেই করোনা সংক্রমিত দেশের তালিকায় শীর্ষ দশে উঠে এসেছে ভারত। প্রতিদিনই হু হু করে দেশটিতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত সপ্তাহে তাণ্ডব চালিয়ে গেল প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। এর মধ্যেই খবর এলো দেশটির পাঁচটি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে মরু পঙ্গপালের ঝাঁক। তার ওপর সপ্তাহখানেক ধরে প্রবল বৃষ্টিপাতে আসামে শুরু হয়েছে বন্যা।
এসবের মধ্যেই আবার নতুন বিপদ ডেকে এনেছে তীব্র দাবদাহ। দু’দিন ধরে গনগনে রোদ আর ভয়ঙ্কর তাপে পুড়ছে গোটা উত্তর ভারত। মঙ্গলবার (২৬ মে) ১৮ বছরের রেকর্ড ভেঙে দেশটির রাজধানী দিল্লিতে তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পালাম অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত ৬ ডিগ্রি বেশি।
এছাড়া রাজস্থানেও তাপমাত্রার পারদ ছিল ঊর্ধ্বমুখী। মঙ্গলবার রাজ্যের চুরু জেলায় তাপমাত্রা উঠে ৫০ ডিগ্রি। গত ১০ বছরে এটাই ওই এলাকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা৷ ২০১৬ সালের ১৯ মে চুরুতে তাপমাত্রা উঠেছিল ৫০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত এক দশকের মধ্যে এবছরই সবচেয়ে বেশি দাবদাহে পুড়ছে ভারত। বৈশ্বিক তাপমাত্রা পর্যবেক্ষক ওয়েবসাইট এল ডোরাডো জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৬ মে) বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে উত্তপ্ত স্থান ছিল রাজস্থান।
এমন অবস্থায় সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।