ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত বিশ্ব। এ অবস্থায় ভারত-চীন সঙ্গে সীমান্তে উত্তেজনা চলছে। অন্যদিকে হংকংয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। এরিমধ্যে যেন যুদ্ধের বার্তা দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
গতকাল (২৬ মে) যে কোনো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেনাবাহিনীর উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশকে সুরক্ষা দিতে সব রকম প্রস্তুতি থাকা চাই।
এ কথা তিনি এমন সময় বললেন, যখন চীন-ভারত সীমান্তে সীমান্তে উত্তেজনা চলছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, লাদাখের কাছে অন্তত ১০০ তাঁবু বসিয়ে ঘাঁটি গেড়েছে চীনা সেনাবাহিনী। সেখানে আবার অনেকগুলো চীনা ফাইটার জেটের অবস্থানও দেখতে পেয়েছে ভারতীয় স্যাটেলাইট।
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, চীন সশস্ত্র যুদ্ধের জন্য তার প্রস্তুতি বাড়াবে। একই সাথে সামরিক কাজ সম্পাদনের ক্ষমতারও উন্নতি করা হবে। কারণ করোনা মহামারি জাতীয় সুরক্ষায় বেশ প্রভাব ফেলছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, শি জিনপিং আরও বলেছেন নতুন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামরিক বাহিনী সাফল্য দেখিয়েছে। এরপরও মহামারিতে সশস্ত্র বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার নতুন উপায় খোঁজা উচিত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারত-চীন সীমান্তে লাদাখের দিকে পরিস্থিতি থমথমে। স্যাটেলাইটের ছবিতে চীনা যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এ পরিস্থিতিতে আজ (২৭ মে) মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, তিন বাহিনীর প্রধানরা, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াতও এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা।