আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় ভারতে টানা দুই মাস বন্ধ ছিল বিমান চলাচল। আজ থেকে আবার আন্তঃ বিমান চলাচল শুরু হয়েছে দেশটিতে। প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম পরিধান করে বিমান-সেবিকারা বিমানের দরজায় দাঁড়িয়ে যাত্রীদের স্বাগত জানান। যাত্রীদের ওয়েব চেক ইন করতে হয়েছে। ডাউনলোড করতে হয়েছে সরকারি আরোগ্য সেতু অ্যাপ।
বিমানে কোনও খাবার দেওয়া হচ্ছে না। শুধু বোতলজাত পানি দেওয়া হচ্ছে। যাত্রীরা সামাজিক দূরত্ব বাজায় রেখে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরেই ঢুকতে পেরেছেন বিমানবন্দরে।
বিমানগুলিকেও ভালো করে পরীক্ষা করে নেওয়া হয়েছে। দুই মাস বন্ধ থাকার পর হঠাৎ উড়লে যন্ত্রপাতি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। করাচির বিমান দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন বিমানটি না চলার জন্য যান্ত্রিক গোলযোগের কথা বলা হয়েছে।
তবে বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়ার ক্ষেত্রে এই ধরণের জটিলতা নেই। কারণ, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানগুলি গত দুই মাস ধরে চালু ছিলো। তারা জরুরী জাতীয় সেবায় নিয়োজিত ছিল। পাশাপাশি বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলিকে বলে দেওয়া হয়েছে, বিস্তারিত পরীক্ষার পরই তারা যেন বিমান চালাতে শুরু করে।
তবে শুরুর দিনেই বিশৃঙ্খলার কারণে প্রচুর ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। এতে করে যাত্রীরা পড়েছে চরম বিপাকে। অনেক রাজ্য শেষমুহূর্তে জানায় তারা বিমান নামতে দেবে না।
মহারাষ্ট্র জানিয়েছে পুরো ভর্তি বিমান চালানো যাবে না। ফলে দিল্লি থেকে ৮২টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। নয়টি বেঙ্গালুরু থেকে। গুয়াহাটি থেকে ছয়টি বিমান চলেছে। ২৬টি বাতিল। কেরালাতেও একই অবস্থা। শিলচর, আইজলে বিমান চলেনি। আগে থেকে যাত্রীদের তা জানানো হয়নি। ফলে তাঁরা বিমানবন্দরে গিয়ে জানতে পেরেছেন, বিমান বাতিল।
মুম্বই ফ্লাইটের সীমা বেঁধে দিয়ে বলেছে, ৫০টির বেশি ফ্লাইট ওঠানামা করতে দেওয়া হবে না। চেন্নাইও ফ্লাইটের সীমা বেঁধে দিয়েছে। তাই অনেকগুলি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
দিল্লির টার্মিনাল ৩ ও মুম্বাইয়ে ছত্রপতি শিবাজি বিমানবন্দরের অবস্থা ছিলো সব চেয়ে খারাপ। মুম্বাইয়ে তো বিমানবন্দরের বাইরে কোনও যানবাহন ছিলো না। কোনওরকমে যাত্রীরা বন্ধুদের ধরে বা গাড়ি জোগাড় করে বিমানবন্দরে এসেছেন। ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ফিরে যাওয়ার সময় নাজেহাল হতে হয়েছে তাদের।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ৩০ মে পর্যন্ত যেন কলকাতায় বিমান চালানো না হয় সে বিষয় কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করেছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করেছে, কলকাতার সঙ্গে বিমান চলাচল শুরু হবে ২৮ মে থেকে। কলকাতায় বিমান চলছে না বলে উত্তর পূর্বের অনেক ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে।
সান নিউজ/ বি.এম.