আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ঘুষ, জালিয়াতি এবং বিশ্বাসভঙ্গের তিনটি আলাদা মামলায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নতুন মেয়াদের জন্য শপথ গ্রহণের মাত্র কয়েকদিন পরই এ বিচার শুরু হলো। ইসরায়েলের ইতিহাসে নেতানিয়াহুই প্রথম ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী যার ফৌজদারি মামলায় বিচার হচ্ছে।
দক্ষিণপন্থী লিকুদ পার্টির নেতা মি. নেতানিয়াহু হচ্ছেন ইসরায়েলের ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার প্রধানমন্ত্রী। তিনি ২০০৯ সাল থেকে টানা ক্ষমতায় আছেন এবং এর আগে ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত আরেক দফা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
তার বিরুদ্ধে আনা তিনটি মামলার প্রথমটিতে বলা হয়, তিনি ক্ষমতাধর ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেবার বিনিময়ে চুরুট এবং শ্যাম্পেনের বোতলসহ নানা উপহার গ্রহণ করেছেন।
দ্বিতীয়টিতে বলা হয়: নেতানিয়াহু ইসরায়েলি সংবাদপত্র ইয়েদিওত আহরোনট-কে প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে তার ব্যাপারে ইতিবাচক খবর ছাপালে তিনি পত্রিকাটির বিক্রি বাড়াতে সহায়তা করবেন।
তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়, মি. নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রী এবং যোগাযোগমন্ত্রী থাকার সময় টেলিকম প্রতিষ্ঠান শাওল এলোভিচের সংবাদ ওয়েবসাইটে ইতিবাচক রিপোর্টের বিনিময়ে তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের সুবিধা হয় এমন নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য কাজ করেছেন।
তবে নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জেরুসালেমে আদালতে হাজির হয়ে ৭০ বছর বয়স্ক নেতানিয়াহু বলেন, ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র করেই এই ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে। এসব অভিযোগ ওঠার পর তার পদত্যাগের দাবি জানানো হলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তার আইনজীবীরা আবেদন করেছিলেন যেন প্রথম দিনের শুনানীতে মি. নেতানিয়াহুকে হাজিরা দিতে না হয়, কিন্তু আদালত সে আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। এ সময় আদালতের বাইরে তার সমর্থক এবং বিপক্ষের বিক্ষোভকারীরা সমবেত হয়ে পক্ষে ও বিপক্ষে স্লোগান দেয়।
সান নিউজ/ বি.এম.