আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলের একজন মারা গেছে। স্বজনের বাড়িতে তখন কান্না আর আহাজারিতে চলছিলো। হঠাৎ সেখানে এক নারীকে দেখা যায়। তবে ঐই নারী স্বজনের কেউ নয়। তাকে স্বজনরা চেনে না কেউ। তিনি কফিনের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছিলেন। বিপত্তি বাধে সেখানেই।
আগন্তুক নারীর বয়স ষাটের আশেপাশে। তার দাবি, যে নারী মারা গেছেন অর্থাৎ যার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় তিনি গেছেন, তিনি তার বান্ধবী। বান্ধবীকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে তিনি কফিনের কাছে যান। কফিন খুলে তাকে দেখানোও হয়। আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগান তিনি।
ওই নারীর কফিনের কাছে যাওয়ার পর মৃতের পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা একটা বিষয় খেয়াল করেন। তারা দেখেন, মৃতের দেহে যেসব অলঙ্কার পরানো ছিল; যেমন তার গলার হার, কানের দুল, নাকফুলসহ অন্যান্য কোনো অলঙ্কারই মৃতের দেহ থেকে উধাও হয়ে গেছে।
বিষয়টি খেয়াল করার পরপরই মৃতের পরিবারের লোকজন তা পুলিশকে জানায়। পুলিশ এসে অনুসন্ধান শুরু করে। এর কিছুক্ষণ পর পুলিশ সন্দেহভাজন ওই নারীকে চিহ্নিত করেন। বাড়ির পাশেই ছিলেন তিনি। সেখান থেকে তাকে আটক করে সব অলঙ্কার উদ্ধার করা হয়।
তবে ঘটনার শেষ এখানেই নয়। এরপর জানা যায় যে, সেখানে একজনের মানিব্যাগও চুরি হয়েছে। সেই মানিব্যাগও ওই নারীর কাছ থেকেই উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এটা তিনি সেদিন করেননি। এর একদিন আগে অর্থাৎ গত মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) তিনি মানিব্যাগটি চুরি করেন।
যখন সন্দেহভাজনের বাড়িতে তল্লাশি করা হয়, তখন পুলিশ সাম্প্রতিক ওই এলাকায় যারা মারা গেছেন তাদের নাম খুঁজে পান। যেখানে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগত কক্ষগুলোতে ঢোকার প্রক্রিয়া লেখা রয়েছে। গ্রেফতার নারীকে ২০২২ সালে আদালতে তোলা হবে।
সূত্র: বিবিসি
সাননিউজ/এএসএম