আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনার টিকা গ্রহণে স্থানীয়দের মধ্যে অনাগ্রহ ও উৎপাদিত ও সংগৃহীত টিকাগ্রহীতাদের দেওয়ার দিন-তারিখ শেষ হয়ে যাওয়ায় করোনার লাখ লাখ টিকা ফেলে দিচ্ছে জার্মানি।
এ অবস্থায় সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে টিকা গ্রহণে আগ্রহ বাড়াতে দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নানা কর্মসূচি ও কাজে আসছে না বলে দেশটির স্থানীয় একাধিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।
টিকা গ্রহণে মোবাইল ক্যাম্পসহ দেশটির প্রত্যকটি বাড়ি বাড়ি চিঠিও পৌঁছে দিচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করা ৬০ লাখ মানুষকে এরই মধ্যে তৃতীয় ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
টিকা উৎপাদন ও দেওয়ার সময় থেকে প্রায় সাড়ে আট কোটির জনসংখ্যার দেশটির প্রায় সব নাগরিকদের জন্যও কমপক্ষে দুটি করে করোনার টিকার ডোজ আগে ভাগেই নিশ্চিত করেছিল জার্মান স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু দেশটির কিছু সংখ্যক সাধারণ নাগরিকদের টিকাগ্রহণে অনাগ্রহ আর পরিমাণের চেয়ে বেশি ক্রয়ের কারণে মেয়াদোত্তীর্ণ সেই টিকা ফেলে দিচ্ছে জার্মানির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের টিকা কেন্দ্রগুলো।
এক্ষেত্রে বায়ার্নের নাম সবার উপরে। অঙ্গরাজ্যটিতে ফেলা দেওয়া টিকার পরিমাণ ৫৩ হাজারেরও বেশি। এছাড়া নর্দরাইন ভেস্টফালেন ৩ হাজার, বাডেন ভূইর্টেমবার্গে ৪ হাজার, ব্রান্ডেনবুর্গে ৫ হাজারসহ অন্যান অঙ্গরাজ্যে ফেলে দেওয়া টিকার পরিমাণ আরও বেশ কয়েক হাজার। দেশটির অঙ্গরাজ্যগুলোর প্রধানরা আরও একটু কৌশলী হলে ফেলা দেওয়া টিকাগুলোর মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগেই সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা যেত এমনটাই মত স্থানীয়সহ বাংলাদেশি প্রবাসীদের।
ফেলে দেওয়ার তালিকা হচ্ছে আরও বড়। আগামী কয়েক সপ্তাহে ১৫ লাখ করোনার টিকার মেয়াদোত্তীর্ণ হবে। যার মধ্যে ১১ লাখ টিকাই ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রেজেনেকার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনসন অ্যান্ড জনসনের আছে ৪ লাখ টিকা।
তবে নিজ দেশের নাগরিকদের টিকা দেওয়ার পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও, কোভ্যাক্স ও ইউনিসেফের টিকা কার্যক্রমে ৩ কোটি ডোজ দান করেছে জার্মানি। ১১০ মিলিয়ন ডোজ দরিদ্র দেশগুলোর জন্য বরাদ্দ দিয়ে এ তালিকায় সবার উপরে অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের।
সান নিউজ/এমএম