আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রবিবার (২৪ মে) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। মুসলিম উম্মাহর অন্যতম বড় একটি উৎসবের দিন হচ্ছে ঈদের দিন। কিন্তু করোনার প্রভাবে এবারের ঈদে মানুষের মাঝে আনন্দের চেয়ে আতংক বেশী দেখা যাচ্ছে। নেই কোন আনন্দ, নেই কোন উৎসবের আমেজ। নামাজ শেষে কোথাও দেখা যায়নি হাসিমুখে পরস্পর কোলাকুলির দৃশ্য। নিরাপদ থাকতে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সারা বিশ্বে এবার পালিত হচ্ছে এক ভিন্ন রকম ঈদ।
সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি থাকা স্বত্বেও কোন কোন দেশে বিধি-নিষেধ কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।
ঈদে মানুষ নতুন জামা পড়ে বের হয়, ঘুরে বেড়ায়। বাড়ি বাড়ি রান্না হয় মজাদার খাবার, মেহমানে ভরে থাকে ঘর। ভেদাভেদ ভুলে ধনী–গরিব নির্বিশেষে সবাই এই উৎসবে শামিল হয়।
কিন্তু এবার একেবারেই ভিন্ন পরিস্থিতি দেখছে বিশ্ববাসী। দিন দিন মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। করোনা ঠেকাতে অনেক দেশ এখনো লকডাউনে আছে। বিভিন্ন দেশে ঈদুল ফিতরের উৎসবেও কম–বেশি বিধিনিষেধ থাকছে।
সৌদি আরব, তুরস্ক, মিসর, সিরিয়ায় করোনার বিস্তার ঠেকাতে ঈদে গা ঘেঁষে জামাতে নামাজ আদায়সহ গণজমায়েত পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সৌদি আরবে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (২৩ মে) থেকে পাঁচ দিনের কারফিউ শুরু হয়েছে। দিন–রাত জুড়ে এই কারফিউ চলবে। মক্কা ও মদিনার দুটি পবিত্র মসজিদে মুসল্লি ছাড়াই ঈদের নামাজ হবে বলে রাজকীয় ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে লেবাননের সুন্নি ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুধু মাত্র জুমার নামাজের জন্য মসজিদ খোলা হবে। অন্যদিকে জেরুজালেমের পবিত্র আল আকসা মসজিদ ঈদের পর মুসল্লিদের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানা যায়।
ইরান তাদের নাগরিকদের ঈদের সময় ভ্রমণ এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে। করোনার প্রভাবে ইরানে কঠোর কিছু বিধি নিষেধ আরোপ ছিল এতো দিন। তবে সম্প্রতি তা কিছুটা শিথিল করেছে দেশটির সরকার।
ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও আফগানিস্তান ঈদের কেনাকাটা উপলক্ষে ভিড় লক্ষ করা যায়। তবে করোনার স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করায় দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে।
করোনা–সংক্রমিত মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও ঈদ উদযাপনে কঠোর সতর্কতা অনুসরণ করা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে বলা যায় যে, এবারের ঈদটি হবে অনেকটাই উৎসবহীন।
সান নিউজ/ বি.এম.