আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মে মাসের শুরুর দিকে পাকিস্তান থেকে ভারতের রাজস্থানে ঢুকেছিল পঙ্গপালের ঝাঁক। প্রায় অর্ধেক ফসলের মতো নষ্ট করে তারা এখন এগোচ্ছে দিল্লীর দিকে।
যোধপুরভিত্তিক পঙ্গপাল সতর্ককারী সংস্থার (এলডব্লিউও) উপপরিচালক কেএল গুরজার বলেন, ‘২০১৯ সালে পরিপক্ক হলুদ রংয়ের পঙ্গপাল পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রজনন করেছিল। তাদেরই বংশ থেকে এসেছে গোলাপি রংয়ের একদল পঙ্গপাল। এরা আগেরগুলোর চেয়ে আরো বেশি মারাত্মক।’
২০১৯ সালে রাজস্থানের ১২ জেলায় পঙ্গপাল হানা দিয়ে ৬ লাখ ৭০ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট করে। ওই বছর ১ হাজার কোটি রুপির আর্থিক ক্ষতি হয়। এবার পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাজ্যের কৃষি বিভাগ ৪৫ টি পিকআপ, ৭০ টি যান দিয়ে পরিস্থিতি মনিটরিং করছে এবং ৬০০ ট্রাক্টর দিয়ে আক্রান্ত এলাকাগুলোতে কীটনাশক ছিটাচ্ছে। তারা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ড্রোন চেয়েছে পঙ্গপাল দমনের জন্য।
রাজস্থানের অনেক এলাকা সাবাড় করে পঙ্গপাল এখন ছুটে চলেছে হরিয়ানার দিকে। এদিকে জায়সালমির থেকে আসা আরেকটি বাহিনী ঢুকেছে মধ্যপ্রদেশের উজায়ান এলাকায়। গুজরাটের বানাসকাথা এলাকাও আক্রান্ত হয়েছে পঙ্গপালের হানায়।
রাজস্থানের কৃষক নেতা রামপাল জাট বলেন, ‘নতুন আবাদ করা তুলা ও চীনাবাদাম নষ্ট করে ফেলছে পঙ্গপাল। এগুলো এ মৌসুমের অর্থকারী ফসল। যদি এদের রাজস্থানে নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তবে এরা এক সপ্তাহের মধ্যে দিল্লী পৌঁছে যাবে।’
কৃষকদের নিয়ে কাজ করা একজন সমাজকর্মী রামানদিপ সিং মান বলেন, ‘আমি মনে করতে পারছি না দিল্লী সর্বশেষ কখন পঙ্গপালের আক্রমণের শিকার হয়েছিল। তবে এবার যে বাহিনী ঢুকেছে তারা ২০১৯ সালের দলটির চেয়ে তিনগুণ বড়। তারা রাজস্থানে যা পেয়েছে তাতে পেট ভরেনি। এখন রাজস্থান ও হরিয়ানা সীমান্ত অঞ্চলে পৌঁছে গেছে। অগ্রবর্তী এ দলটির পেছনে আরো কয়েকটি বাহিনী আসছে যারা হরিয়ানা পার হয়ে দিল্লীতে হানা দিতে পারে।’
সান নিউজ/ আরএইচ