আন্তর্জাতিক

১৮ বার বদলেছে আফগান পতাকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পতাকা বাতাসে উড়ছে। এই উড়ার মধ্যে ১৮ বার বদলে গেছে আফগানিস্তানের চেনা পতাকা। বিদ্রোহীরা সাদা পতাকা উড়ছে রাজধানী কাবুলের মসনদে। তবে এই প্রথমবার আফগানিস্তানের পতাকা বদল হল না। ১০০ বছর আগে ব্রিটিশদের হাত থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীন হওয়ার মুহূর্ত থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৮ বার বদলেছে এই পতাকা।

১৯০১ সাল থেকে ১৯১৯ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান শাসন করেছেন সম্রাট হাবিবুল্লাহ খান। তার রাজত্বে যে পতাকার প্রচলন হয় তার মাঝে একটি মসজিদের ছবি ছিল। মসজিদের ঠিক নিচে ছিল গুন চিহ্নের মতো অবস্থানে দু’টি তলোয়ারে ছবি। এই পুরোটাকে ঘিরে ছিল একটি ফুলের গোলাকার মালা।

১৯২১ সালে ব্রিটিশদের হাত থেকে পুরোপুরি মুক্তিলাভ করে আফগানরা। তখন রাজা ছিলেন আমানুল্লাহ খান। তিনি পতাকার ভেতরের মসজিদের ছবি একটু বদলে দেন। নিচে তলোয়ারের আকারও খুব ছোট করে দেন এবং ঘিরে থাকা গোলাকার ফুলের মালার বদলে আট চূড়া বিশিষ্ট একটি নকশা এঁকে দেন। নতুন রূপের পতাকা পায় আফগানিস্তান।

এরপর অন্তত তিনবার বদল হয় আফগানদের পতাকা। ১৯৭৮ সালে কমিউনিস্টদের হাতে দাউদ খুন হলে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হন নুর ‍মুহম্মদ তারিকি। তিন রঙয়ের পতাকা পরিণত হয় পুরো লাল রঙে। এক পাশে গমের ছবি দিয়ে ঘেরা একটি শব্দ। যার অর্থ ‘জনগণ’।

আরও কয়েকবার পতাকা বদলের পর ১৯৯২ সালে কাবুলের দখল নেয় মুজাহিদিনরা। বুরহানুদ্দিন রব্বানি হন নতুন প্রেসিডেন্ট। তার আমলে ফের পতাকা বদলে যায় অনেকটাই। সবুজ, কালো এবং সাদা— এই তিন রঙে সাজে পতাকা।

রব্বানির সময় মুজাহিদিনদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। ধীরে ধীরে কাবুলের দখল নেয় তালেবান। ১৯৯৬ সালে আফগানিস্তানে তালেবানের-শাসন শুরু হয়। সাদা কাপড়ের মাঝে কালো হরফে কালেমা শাহদাৎ লেখা পতাকা ওঠে কাবুলে।

২০০১ সালে আমেরিকার সেনারা আফগানিস্তানের দখল নেয়। রব্বানি ফের ক্ষমতায় ফিরে পতাকা বদল করেন। এরপর প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের আমলে ২০০৪ এবং ২০১৩ সালে, আশরফ গনির আমলে ২০১৪ সালে পতাকা বদলায়।

গত রোববার আবারও আফগানিস্তানের রাজধানী দখলে নিয়ে কাবুলের মসনদে নিজেদের পতাকা তুলেছে বিদ্রোহীরা।

সান নিউজ/এফএআর

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

নলছিটিতে ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির নলছিটিতে শুরু হয়েছে ভূট্টো স্মৃত...

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সদস্য তোফায়েল আহ...

বাজার সহনশীল করার চেষ্টা করছি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা কমে এসেছে জ...

স্বামীর মুঠোফোনে সাবেক প্রেমিকের ম্যাসেজ-ভিডিও, নববধূর আত্মহত্যা

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্বামীর মুঠোফোনে সা...

বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃ...

ডেঙ্গুতে একদিনে বছরের সর্বোচ্চ মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১১ জনের মৃত...

অটোরিকশার বিষয়ে যে বার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক: উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী অটোরিকশা সম...

পেপার মিলে অগ্নিকাণ্ড, দগ্ধ ১১

জেলা প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের একটি পেপার মিলে অগ্...

পাকিস্তানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, নিহত ২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবারপাখ...

আমরা সব লিপিবদ্ধ করে যাবো

বিনোদন ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা