আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণের দিকে আগাচ্ছে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, আফগানিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে কাবুল পতনের পর এবার নতুন সরকারের কাঠামো নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে তারা। তাদের দাবি, আফগানে কোনো গণতন্ত্র থাকবে না। এখানে শরিয়া আইন জারি থাকবে।
এর আগে সকল আফগান পক্ষকে নিয়ে একটি নমনীয় ইসলামি সরকার গঠন করা হবে বলে ঘোষণা দেয় সশস্ত্র গোষ্ঠী। সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর মুখপাত্র সোহেল শাহিনের বরাত দিয়ে আফগান বার্তা সংস্থা শাফাকনা এ খবর জানায়।
এদিকে গোষ্ঠীটির সিনিয়র সদস্য ওয়াহিদুল্লাহ হাশিমি এক সাক্ষাৎকারে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, আফগানিস্তানে গণতন্ত্র থাকবে না। এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
ওয়াহিদুল্লাহ হাশিমি বলেন, এখানে কোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকবে না। কারণ, আমাদের দেশে এর কোনো ভিত্তি নেই। আফগানিস্তানে আমাদের কোন ধরনের রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রয়োগ করা উচিত, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করবো না। কারণ, এটি স্পষ্ট। এটা শরিয়া আইন এবং এটাই।
হাশিমি আরও বলেন, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে তালেবান নেতৃত্বের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে শাসন পরিচালনার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে। ওই বৈঠকে তিনি যোগ দেবেন। এ সময় তিনি জানান, একটি শাসক পরিষদ দ্বারা সরকার পরিচালিত হবে।
তার বক্তব্য, সশস্ত্র গোষ্ঠীর সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা সুপ্রিম লিডার হিসেবে সরকারের প্রধান হবেন। কিন্তু সম্ভবত তিনি প্রেসিডেন্ট হবেন না। প্রেসিডেন্ট করা হতে পারে আখুন্দজাদার ডেপুটিদের। এই মুহূর্তে আখুন্দজাদার তিনজন ডেপুটি আছেন। মোল্লাহ ওমরের ছেলে মৌলভি ইয়াকুব, হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজউদ্দিন হাক্কানি এবং দোহায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর রাজনৈতিক প্রধান আবদুল গনি বারাদার।
ওয়াহিদুল্লাহ হাশিমি বলেন, হায়বাতুল্লাহ আখন্দজাদা সম্ভবত কাউন্সিলের প্রধানের উপরে ভূমিকা পালন করবেন, যিনি দেশের প্রেসিডেন্টের সমতুল্য হবেন। হয়তো তার ডেপুটিদের মধ্যে একজন প্রেসিডেন্টের ভূমিকা পালন করবেন।
এদিকে জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়েচ ভেলে জানায়, প্রথম সশস্ত্র গোষ্ঠী সরকারের নীতি নির্ধারক ছিলেন মোল্লাহ ওমর। কিন্তু তিনি কখনো সামনে আসেননি। একটি কাউন্সিল তৈরি করে শাসন চালাতেন তিনি। এবারেও সেই একই বিষয় ঘটতে পারে বলে মনে করছেন ওয়াহিদুল্লাহ হাসিমি। এ বিষয়ে এখনো কোনো নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হয়নি।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন, সশস্ত্র গোষ্ঠী থিংকট্যাঙ্ক কাউন্সিল তৈরির দিকেই ঝুঁকে আছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সান নিউজ/এফএআর