আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তান দখলের পর কাশ্মির নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে আফগান যোদ্ধারা। তারা বলছে, কাশ্মির অভ্যন্তরীণ এবং দ্বিপাক্ষিক বিষয়। এ নিয়ে তাদের মাথা ঘামাতেও বিশেষ আগ্রহ নেই। সংবাদ সংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে ভারত সরকার মনে করছে, কাশ্মিরে চেষ্টা করলেও খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না আফগান বিদ্রোহীরা। যদিও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কাশ্মিরে নিরাপত্তা আরও জোরদার করছে ভারত।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, কাশ্মিরে নজরদারি এবং নিরাপত্তা দুই-ই বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে কাশ্মিরে বিশেষ কোনো প্রভাব বিস্তারে আফগানিস্তানের ক্ষমতা নেই বলেও জানিয়েছে তারা।
গত রোববার (১৫ আগস্ট) কাবুল দখলে নিয়েছে আফগান বিদ্রোহীরা। নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের অপেক্ষা। এই পরিস্থিতি ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে বলে মনে করে দেশটির সরকার। কারণ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা, লস্কর-ই-ঝাংভি আফগানিস্তানে কিছুটা হলেও সক্রিয়। এএনআই-এর খবর অনুযায়ী, এই জঙ্গি সংগঠনগুলো দখলকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাবুলের একাংশ এবং বেশ কয়েকটি গ্রামাঞ্চলে চেকপোস্টও তৈরি করেছে।
আফগানিস্তান নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গনি সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটানোর পর সংবাদ সম্মেলন করেছে বিদ্রোহীরা। মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, বিশ বছর আগেও আমাদের দেশ মুসলিম রাষ্ট্র ছিল। আজও আমাদের দেশ মুসলিম রাষ্ট্র।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘দীর্ঘ ২০ বছর সংগ্রামের পর আমরা দেশকে মুক্ত করেছি ও বিদেশিদের তাড়িয়ে দিয়েছি। এটা পুরো জাতির জন্য গর্বের মুহূর্ত। আমরা বিদেশি কিংবা অভ্যন্তরীণ শত্রু চাই না।
সরকার গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার গঠনের পর আমরা সিদ্ধান্ত নেব যে জাতির সামনে কোন আইন উপস্থাপন করা হবে। শুধু এটা বলতে চাই, আমরা সরকার গঠনে গুরুত্ব সহকারে কাজ করছি। এটি শেষ হওয়ার পরে এ বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে।
সান নিউজ/এমএম