আন্তর্জাতিক ডেস্ক: একটি বা দুটি নয়, এবার দুই দিনে কাবুল থেকে আসা ৪৬টি মিলিটারি এয়ারক্রাফটকে অবতর করে। এমন কথায় জানিয়েছে উজবেকিস্তান। বিমান পরিষেবা ‘ভেঙে পড়া’ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল আগেই আফগানিস্তানে।
দেশটির দাবি, বেআইনিভাবে তাদের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল এগুলো। তাই জোরপূর্বক অবতরণ করানো হয়েছে।
রোববার (১৭ আগষ্ট) সশস্ত্র গোষ্ঠী কাবুলের দখল নেওয়ার পর থেকেই দলে দলে দেশ ছাড়ছেন মানুষ। এই তালিকায় রয়েছে দেশ ছেড়ে পালানো প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণির ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারাও। বিমানে চেপে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয়ের খোঁজ করছেন তারা।
এমন পরিস্থিতিতে সোমবার সকালেই উজবেকিস্তানে আফগান সামরিক বাহিনীর একটি বিমান ভেঙে পড়ার খবর সামনে আসে।
জানা যায়, রবিবার গভীর রাতে উড়োজাহাজটি সেখানে ভেঙে পড়ে। শুরুতে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি উজবেক কর্তৃপক্ষ। উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে বিষয়টি তদারকি করে দেখা হচ্ছে বলে জানায় তারা।
পরে দেশটির কর্মকর্তাদের মন্তব্যেই অসঙ্গতি ধরা পড়ে। প্রথমে রাশিয়া জানায়, উজবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে তাদের। বিমানটি নামানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
এরপর উজবেক সরকার বিবৃতি প্রকাশ করে জানায়, রাস্তা দেখিয়ে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়ার সময় বিমানবাহিনীর একটি বিমানের সঙ্গে সংঘর্ষে আফগান উড়োজাহাজটি ভেঙে পড়ে। পরে অবশ্য ওই মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেয় উজবেক সরকার।
এর পরই মঙ্গলবার জোর করে এয়ারক্রাফট নামানোর কথা স্বীকার করেন উজবেক কর্মকর্তারা। তারা জানান, রোববার থেকে মোট ২২টি আফগান যুদ্ধবিমান এবং ২৪টি সেনা হেলিকপ্টার বেআইনিভাবে তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে।
ওই ৪৬টি বিমানে আফগানিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি সরকারের ৫৮৫ জন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ছিলেন।
এর আগে, বেআইনিভাবে সীমান্ত পেরিয়ে চিকিৎসা সহায়তা চাইতে আসা ৮৪ জন আফগান সেনাকে গ্রেফতারের কথা জানায় উজবেক কর্তৃপক্ষ।
সূত্র: আনন্দবাজার।
সাননিউজ/এএসএম