আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানে একের পর এক প্রদেশ দখলে নেয়ার পর রাজধানী কাবুলে পৌঁছে গেছে তালেবান যোদ্ধারা। ইতোমধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি ক্ষমতা ছেড়ে তাজিকিস্তানে পালিয়ে গেছেন। দেশটিতে যেকোন সময় ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে। এ অবস্থায় তালেবানের একজন মুখপাত্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা ক্ষমতায় আসলে নারীর অধিকার ও সংবাদমাধ্যমকে সম্মান করা হবে।
গত দশ দিনে পুরো আফগানিস্তান দখলে নিয়ে দোর্দণ্ড প্রতাপে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হতে যাচ্ছে তালেবান। এতে করে বিশেষ করে নারীদের প্রতি কী আচরণ হবে তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবানরা যখন আফগানিস্তান শাসন করে তখন শরিয়াহ আইনে নারীদের নানারকম ভয়ংকর শাস্তি দেওয়া হতো। ব্যভিচারের জন্য পাথর মেরে হত্যা করা হতো। ১২ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল।
এবার তালেবান বলছে, নারীদের একা বের হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে এবং তারা শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে প্রবেশাধিকার অব্যাহত রাখতে পারবেন।
কিন্তু তালেবানের এমন অবস্থান নিয়ে অনেকে সন্দেহ ও সংশয় প্রকাশ করছেন। তারা এই প্রতিশ্রুতিকে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ কমানোর একটা কৌশল বলে মনে করছেন। এছাড়া তালেবান সম্প্রতি যেসব এলাকার দখল নিয়েছে সেসব এলাকায় নারীদের প্রতি আবারও বিমাতাসুলভ আচরণ করার খবর পাওয়া গেছে।
যেমন- দেশটির অন্যতম বৃহৎ শহর কান্দাহারে নারী পেশাজীবীদের তালেবান বলেছে, তাদের চাকরি থাকছে না। এর পরিবর্তে পুরুষ কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। অন্যান্য স্থানেও নারীদের ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না এবং বাধ্য করা হচ্ছে বোরকা পরতে।
আফগানিস্তানের নারী এমপি ফারজানা কোচাই বলছেন, আফগানিস্তানের যেসব এলাকা আগেই তালেবানের দখলে চলে গেছে, সেসব এলাকার অনেক নারীর সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, এখন আর তারা চাকরিতে বা স্কুলে যাচ্ছেন না।
সান নিউজ/এফএআর