আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ধর্ম অবমাননার দায়ে পাকিস্তানে এক হিন্দু শিশুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শিশুটি মাদ্রাসার কার্পেটে ইচ্ছাকৃতভাবে মূত্রত্যাগ করে বলে অভিযোগ করা হয়।
এ অভিযোগে মামলা হওয়ায় শিশুকে কাস্টডিতেও নিয়েছে পুলিশ। দেশটির ইতিহাসে এটি ধর্ম অবমাননায় সবচেয়ে কমবয়সীর বিরুদ্ধে মামলার ঘটনা। সোমবার(৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
পাকিস্তানের আইন অনুসারে, ইসলাম ধর্ম অবমাননা খুবই গুরুতর অপরাধ এবং এর সাজা মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে।
এদিকে এ অভিযোগ সম্পর্কে ছেলেটির পরিবারের এক সদস্য বলেন, সে ধর্ম অবমাননার বিষয় সম্পর্কে জানেই না। তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। সে এখনও জানেই না কোনটা ভুল আর সঠিক এবং কেনো তাকে এক সপ্তাহ ধরে কারাগারে রাখা রয়েছে।
শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মামলায় অবাক হয়েছেন দেশটির আইন বিশেষজ্ঞরাও। তারা বলছেন, এই ঘটনা নজিরবিহীন। পাকিস্তানে এই বয়সের কেউ কখনও এমন অভিযোগে অভিযুক্ত হয়নি।
পাকিস্তান হিন্দু কাউন্সিলের প্রধান ও মানবাধিকারকর্মী কপিল দেব বলেন, আমি অবিলম্বে শিশুটির বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
খবরে বলা হয়েছে, শিশুটির পরিবার ও স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকেই পাঞ্জাবের রক্ষণশীল রহিম ইয়ার খান এলাকায় লুকিয়ে থাকছে। গত সপ্তাহে একদল মুসলিম স্থানীয় একটি হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুরের পর তারা নিজ বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন। ছেলেটি জামিনে মুক্তি পাওয়ার ঘটনায় মন্দির ভাঙচুর করা হয়। উত্তেজনা নিরসন ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
সান নিউজ/ এমএইচআর