আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
করোনায় আক্রন্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে ভারতে। আজ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৬৭ জন। ফলে দেশটিতে প্রায় ৮২ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হলেন। অর্থাৎ সেখানে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৯৭০ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় দেশটিতে করোনায় প্রাণ হারিয়েছে ১০০ জন করোনা রোগী।
শুক্রবার (১৫ মে) সকালে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
তাদের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারতে করোনায় মারা গেছে মোট ২ হাজার ৬৪৯ জন। তবে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে ঘেরে ফিরে গেছেন বহু মানুষ।
জানা যায়, ভয়ঙ্কর করোনার কবলে পড়েও চিকিৎসা সহায়তায় এখন ভালো আছেন ও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেছেন ২৭ হাজার ৯২০ জন মানুষ।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে গত ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন জারি করা হয়। দফায় দফায় এই লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৮ মে থেকে দেশে ফের বাড়ছে লকডাউনের মেয়াদ।
তবে লকডাউন জারি রেখেই বিভিন্ন জায়গায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রবণতা বিবেচনা করে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কথাও বিবেচনা করছে কেন্দ্র। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক পথে ফিরতেই হবে, তাই প্রথমেই শিথিল করা হতে পারে বিমান ও স্থানীয় পরিবহণগুলো চলাচলে জারি রাখা নির্দেশিকা।
লকডাউন ৪.০য়ে নির্বাচিত এলাকার মধ্যে চলতে পারে বিমান, বাস ও স্থানীয় পরিবহণ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, লকডাউন ৪.০ এর সময় যাত্রীসংখ্যা সীমিত রেখে বাস, ট্যাক্সি ও অটো পরিষেবা চালু করা হবে। তবে সব যানবাহনই চলবে করোনাভাইরাসের হটস্পট নয় এমন জায়গাতেই। মূলত নন-কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতেই চলাচল করবে সেগুলো।
জানা গেছে, সরকার আগামী সপ্তাহ থেকেই দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা শুরু করার পরিকল্পনাও করছে।
এদিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার মাইক্রোসফটের সাবেক কর্ণধার বিল গেটসের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই মহামারি মোকাবিলায় বৈজ্ঞানিক গবেষণাসহ বৈশ্বিক সমন্বয়ের গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করেন তারা। সূত্র: এনডিটিভি
সান নিউজ/ আরএইচ