আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে এখন লাখ লাখ মানুষের ভিড়। এইতো কয়েকদিন আগে এমন ভিড় ছিলো না। কারণ হলো টিকা না নিলে জরিমানার পাশাপাশি মোবাইল ব্লক, সরকারি-বেসরকারি অফিস, রেস্টুরেন্ট ও শপিং মলে প্রবেশ নিষিদ্ধ এবং পরিবহন সেবা পাবেন না এমন ঘোষণার পর এই ঘটনা ঘটলো।
পাকিস্তানের দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করেছে করোনাভাইরাসে অতিসংক্রামক ডেল্টা ধরন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশটির সরকার ব্যাপকহারে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা করলেও টিকা নিতে সাধারণ জনগণের আগ্রহ তেমন দেখা যায়নি।
কিন্তু সরকারি কর্মকর্তারা ওই ঘোষণা দেওয়ার পর দেশটির কিছু কিছু এলাকায় টিকা নিতে আগ্রহী মানুষের সারি এক কিলোমিটারের বেশি ছাড়িয়ে যেতে দেখা গেছে।
দেশটির স্বাস্থ্য কর্মীরা বলেছেন, সারিতে যারা দাঁড়িয়েছেন তাদের অনেকেই কোভিড-১৯ এর হুমকি বিবেচনায় নয়, বরং বিধি-নিষেধের ভয়েই এসেছেন। টিকা নিতে সারিতে যারা দাঁড়িয়েছেন, স্বাস্থ্য কর্মীদের মন্তব্যের মিল পাওয়া গেছে তাদের কথাতেও।
থুঁতনির নিচে মাস্ক ঝুলিয়ে করাচির দক্ষিণাঞ্চলের একটি কেন্দ্রে টিকার অপেক্ষা করছেন ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল রউফ।
তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে করোনাকে ভয় পাই না। আমার বেতন বন্ধ হয়ে যাবে, আমাদের সিম বন্ধ হয়ে যাবে। এসব কিছুই কাজ করছে এখানে। যে কারণে আমি দ্বিতীয় ডোজ নিতে এসেছি।’
করাচির আইনজীবী মোহাম্মদ আতিক কুরেশি বলেন, ‘আমি টিকা নেওয়ার পর এই সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য এখানে এসেছি। কারণ আমাকে বিদেশ ভ্রমণ করতে হবে। আমি এটা ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবো না।’
কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনাকারী পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী পরিচালিত ন্যাশনাল কমান্ড অ্যান্ড অপারেশনস সেন্টার (এনসিওসি) বলছে, দেশের ২২ কোটি মানুষের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ৬ দশমিক ৭ শতাংশের টিকাদান পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স।
সাননিউজ/এএসএম