আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণ-পশ্চিম তুরস্কে ছড়িয়ে পড়া দাবানলের গ্রাসে পড়েছে মিলাসের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। উদ্ধার কর্মীরা সেখানকার কর্মীদের সরিয়ে নিয়েছেন। হাইড্রোজেন কুলিং ট্যাঙ্ক আগেই খালি করে দেয়া হয়েছিল। সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতর আগুন ঢুকে পড়ায় দমকল, পুলিশ ও অন্য সরকারি কর্মীরা সরে পড়েছেন। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতরে আগুন লেগে গেছে বলে জানিয়েছে শহরের মেয়র তোকাট।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান যখন টেলিভিশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখনই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র খালি করে দেয়া হয়। এর্দোয়ান তখন বলেন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পুড়ে যেতে পারে। প্রবল হাওয়া বইছে। না হলে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যেত।
এর্দোয়ান আরো বলেন, দাবানল নিয়ে রাজনীতি করার কোনো অবকাশ নেই। কারণ করোনার মতোই বিশ্বজুড়ে দাবানল হচ্ছে।
তবে বিরোধীরা এর্দোয়ানের প্রবল সমালোচনা করছেন। তারা বলছেন, প্রথম থেকে এর্দোয়ান দাবানলকে কোনো গুরুত্ব দেননি। তাই এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। বিদেশি সাহায্য নেয়ার ক্ষেত্রেও তিনি তৎপরতা দেখাননি।
গ্রিসেও দাবানল
গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের পাশেই এসে পড়েছে দাবানল। কয়েক হাজার মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এথেন্স ছেয়ে গিয়েছিল ধোঁয়ায়। বুধবারও শহরে ধোঁয়া ছিল। যাদের শ্বাসকষ্ট আছে, তাদের বাড়ির ভিতর থাকতে বলা হয়েছে। শহরে বায়ুদূষণের মাত্রা মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
দাবানল ইটালিতেও
ইটালির তাপমাত্রাও বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে সেখানেও দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানকার অবস্থা তুরস্ক ও গ্রিসের মতো অতটা ভয়ংকর না হলেও বড় একটি এলাকায় দাবানল জ্বলছে। ইসরায়েলের জঙ্গলেও ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল। বিমান ব্যবহার করে দাবানল নেভানোর কাজ করছে দেশগুলো।
সান নিউজ/এমএম