আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের চেষ্টার শেষ নেই। বিভিন্ন দেশের সরকার শতভাগ নাগরিককে টিকার আওতায় আনার চেষ্টা করছেন। বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি করছে দেশগুলোর সরকার। স্বাস্থ্য পাস না থাকলে ফ্রান্সে চলাফেরা করাই মুশকিল হবে। কিন্তু ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নাগরিকেরা বিষয়টি মোটেও ভালোভাবে নিচ্ছে না। তারা এটা স্বাধীনতা হরণ বলে মনে করছে। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে তারা।
গত জুলাইতে ফ্রান্সে করোনার দৈনিক সংক্রমণ সর্বোচ্চ তিন হাজারে পৌঁছেছিল। আগস্টের শুরুতে তা ২০ হাজারে পৌঁছে গেছে। প্রতিদিনই সংক্রমণের হার লাফিয়ে বাড়ছে।
ইতোমধ্যেই বেশ কিছু জায়গায় নতুন স্বাস্থ্য পাস চালু হয়ে গেছে। সরকার জানিয়েছে, এবার থেকে বাসে-ট্রেনে উঠলেও ওই পাস দেখাতে হবে। স্বাস্থ্য পাসে একটি কিউআর কোড থাকবে। সেই কোড স্ক্যান করলেই জানা যাবে দুইটি টিকা নেয়া আছে কি না। টিকা নেয়া থাকলে অবাধে সর্বত্র যাতায়াত করা যাবে। তবে করোনাবিধি মানতে হবে। ভ্যাকসিন নেয়া না থাকলে বহু জায়গাতেই যাওয়া যাবে না। এমনকি, বাসে-ট্রেনেও ওঠা যাবে না। ৪৮ ঘণ্টা আগের আরটিপিসিআর নেগেটিভ টেস্ট রিপোর্ট থাকলেই যাতায়াত করা যাবে। সরকারের দাবি, নতুন নিয়ম চালু করলে টিকা নেয়ার প্রবণতা আরও বাড়বে।
তবে সরকারের এ সিদ্ধান্তে সেখানে গত সপ্তাহে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকরীদের বক্তব্য, কোনোভাবেই তারা টিকা নেবেন না। টিকা নেয়া বা না নেয়া ব্যক্তি অধিকারের বিষয়। সরকার তা চাপিয়ে দিতে পারে না। বস্তুত, সরকার টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করতে পারেনি। কিন্তু এমন ব্যবস্থা করছে, যাতে টিকা না নিলে স্বাভাবিক জীবনযাপন মুশকিল হয়ে যায়।
সান নিউজ/এনএম