আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে তুরস্কের ৯৮টি এলাকায়। এতে দুই বনকর্মীসহ কমপক্ষে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৩১ জুলাই) পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে ৮৮ এলাকার আগুন। দুর্গত অঞ্চলগুলোতে জারি করা হয়েছে জরুরি দুর্যোগ অবস্থা।
অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কীভাবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
তুরস্কে দাবানল শুরু হয় বুধবার (২৮ জুলাই)। তীব্র বাতাস ও সূর্যের প্রখর তাপে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। পুড়ে ছাই হয় বেশ কয়েকটি গ্রাম ও পর্যটনকেন্দ্র। নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয় গ্রামের কয়েক’শ বাসিন্দা ও অতিথিকে।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান হেলিকপ্টারে চড়ে শনিবার দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন। সে সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে তিনি এলাকাগুলোকে ‘দুর্যোগগ্রস্ত’ আখ্যা দেন। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।
এর আগে বেশ কিছু দাবানল তুরস্কে নিষিদ্ধঘোষিত কুর্দি সশস্ত্র গোষ্ঠীর লাগানো আগুন থেকে শুরু হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলো তুরস্কের সরকার।
আগুন নেভাতে কাজ করছে ১৩টি বিমান। ইউক্রেন, রাশিয়া, আজারবাইজান আর ইরানও এতে সহযোগিতা করছে। এ ছাড়া অর্ধশত হেলিকপ্টার, ড্রোন নিয়েও আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছেন কয়েক হাজার তুর্কি কর্মকর্তা।
সান নিউজ/ এমএইচআর