আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চীনের কোন প্রকার চাপের কারণে করোনাভাইরাসের তথ্য গোপন করা হয়নি বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংবাদ মাধ্যমে এ বিষয়ে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ‘মিথ্যা অভিযোগ’।
স্থানীয় সময় শনিবার (৯ মে) এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিষয়টি স্পষ্ট করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জার্মানির একটি সাময়িকী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ডা. টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের একটি টেলিফোন আলাপ নিয়ে প্রতিবেদন করেছে। যা একেবারেই ভিত্তিহীন ও অসত্য।
জার্মানির সাপ্তাহিক সাময়িকী ডের স্পিগেল জানিয়েছে, গত ২১ জানুয়ারি জিনপিং ও আধানমের মধ্যে টেলিফোনে আলাপ হয়। তখন নতুন করোনাভাইরাসটি যে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয় সে ব্যাপারে তথ্য গোপন রাখতে আধানমের প্রতি আহ্বান জানান জিনপিং। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেন খুব শিগগির মহামারি ঘোষণা না করে সে আহ্বানও জানান জিনপিং।
জার্মানির বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার (বিএনডি) বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছিল ডের স্পিগেল। তবে রবিবার (১০ মে) এ নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বিএনডি।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাটি জানিয়েছে, জিনপিংয়ের সঙ্গে আধানমের কখনোই ফোনে কথা হয়নি। এ ধরনের প্রতিবেদন শুধু বিভ্রান্তিই তৈরি করে না, বরং মহামারির বিরুদ্ধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সরকারগুলোর লড়াইকে অপমানও করে।
বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, নতুন করোনাভাইরাসটি যে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয় তা গত ২০ জানুয়ারি নিশ্চিত করেছিল চীন। এর দু’দিন পর তা আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববাসীকে জানিয়ে সংস্থাটি বলে, এ বিষয়ে আরও তদন্ত প্রয়োজন। ১১ ফেব্রুয়ারি নতুন করোনাভাইরাসকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে সংস্থাটি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কয়েকদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘চীন ঘেঁষা’। দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগও তিনি আনেন সংস্থাটির বিরুদ্ধে। এক পর্যায়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তহবিলে অর্থায়ন বন্ধের ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
সান নিউজ/আরএইচ