আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মাত্র কিছুদিন আগেই নাগর্নো কারাবাখ নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিল আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান। তারপর রাশিয়ার হস্তক্ষেপে যুদ্ধ বন্ধ হলেও উত্তেজনা কমছে না। সীমান্তে আবার গোলাগুলি চলেছে। আর্মেনিয়ার তিন সেনা নিহত হয়েছেন। আজারবাইজানের কয়েকজন সেনাও আহত হয়েছেন।
এরপরেই বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনয়ান রাশিয়াকে সীমান্তে সেনা পাঠাতে অনুরোধ করেন। তবে রাশিয়া সেই অনুরোধ মেনে সেনা পাঠায়নি। তবে তাদের উদ্যোগের ফলে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দুই দেশ মেনে নেয়।
কেন রাশিয়াকে চায় আর্মেনিয়া
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের বলেছেন, ''আমার মনে হয়, সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েন করা ঠিক হবে। আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সীমান্ত জুড়ে রাশিয়ার সেনা পোস্ট থাকুক।''
পাশিনয়ান মনে করছেন, রাশিয়ার সেনা সীমান্তে থাকলে আজারবাইজানের সঙ্গে সংঘর্ষ হবে না। সীমান্তও চিহ্নিত থাকবে। কিন্তু তার প্রস্তাবে ক্রেমলিন এখনো সাড়া দেয়নি। তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আর্মেনিয়া গত মে মাসে অভিযোগ করেছিল, আজারবাইজানের সেনা তাদের এলাকায় ঢুকে পড়েছে। কিন্তু আজারবাইজান তা অস্বীকার করে।
উত্তেজনা যথেষ্ট
গত বছর নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে ছয় সপ্তাহ ধরে লড়েছিল দুই দেশ। ছয় হাজার ৫০০ জন মারা গেছিলেন। মস্কোর উদ্যোগে শান্তিচুক্তি হয়। আজারবাইজানকে অনেকটা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয় আর্মেনিয়া। এরপর আর্মেনিয়ার নির্বাচনে আবার জিতে এসেছেন পাশিনয়ান। কিন্তু আজারবাইজানের সঙ্গে আর্মেনিয়ার উত্তেজনা কমেনি।
সান নিউজ/এমএম