আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পেরুর প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন বামপন্থী নেতা পেদ্রো কাস্তিলিও। তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক। পেরুর ছোট্ট এক গ্রামে দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্ম পেদ্রোর। ছোটবেলা কেটেছে দরিদ্র বাবা-মাকে খামারের কাজে সাহায্য করতে। প্রায় দু'ঘণ্টা পায়ে হেঁটে স্কুলে যেতে হতো তাকে।
স্থানীয় সময় বুধবার রাজধানী লিমায় তার শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠান ও স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে তিন দিনব্যাপী নানা আয়োজন থাকছে লিমায়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেদ্রো কাস্তিলিও'র এই বিজয় পেরুর অভিজাত রাজনৈতিক এবং ব্যবসায়িক মহলে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এক পর্যায়ে স্কুল শিক্ষক হন। গত ২৫ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন তিনি। ভাগ্যের লিলাখেলায় অফিসে কাজের কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই ২০২১ সালে পেরুর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন পেদ্রো কাস্তিলিও।
নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে তার স্লোগান ছিল ‘ধনী দেশে কোনো গরীব থাকবে না’। পেদ্রোর নির্বাচনী সমাবেশে নিয়মতি বার্তা ছিল এটি।
কাস্তিলিওর জন্ম ১৯৬৯ সালের ১৯ অক্টোবরে। ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ছিলেন প্রাইমারি শিক্ষক। ৫১ বছর বয়সী পেদ্রো পেরুর গ্রামীণ দরিদ্র ভোটারদের সমর্থনেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
শপথ নেওয়ার পর ভাষণে পেদ্রো কাস্তিলিও বলেন, প্রথমবারের মতো পেরু একজন কৃষক দ্বারা পরিচালিত হবে। পেরুতে এখনো ঔপনিবেশিক ক্ষত গভীরভাবে রয়ে গেছে। এই ক্ষত সারিয়ে তোলা হবে।
গত ৬ জুন পেরুতে দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ করেন পেদ্রোর নির্বাচনী প্রতিপক্ষ ডানপন্থী কিকো ফুজিমোরি। ভোট বিশ্লেষণ করে গত সোমবার পেদ্রো কাস্তিলিও কে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগের ছয় সপ্তাহ পর এ ঘোষণা আসে।
সান নিউজ/এফএআর