আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তুমুল লড়াই চলছে আফগান সামরিক বাহিনী ও তালেবানের মাঝে। দুপক্ষের লড়াইয়ে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। যার বেশিরভাগই সাধারণ মানুষ।
সম্প্রতি আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার প্রায় দখলে নিয়েছে তালেবান। ফলে সেখানে বসবাস করা এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা ছাড়া মার্কেটে যাওয়া বিপদ। বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ।সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা থেমে গেছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ গত সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে অভিযোগ তোলে, তালেবানরা সরকারের পক্ষের লোকজনকে জড়ো করছে আর বেছে বেছে হত্যা করছে। যদিও তালেবান এটিকে প্রোপাগান্ডা বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
স্পিন বোলদাখের জনপ্রিয় বাজার এলাকায় গত ১৬ জুলাই আফগান-তালিবান সংঘর্ষে নিহত হন তরুণ সাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকি। সম্প্রতি জনপ্রিয় আফগান কৌতুক অভিনেতা নজর মহম্মদ ওরফে খাসা জওয়ানের মৃত্যুর ভয়াবহ চিত্র ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যদিও তালেবানের দাবি, নজরের মৃত্যুতে তাদের কোনো হাত নেই। এ ঘটনার পর আতঙ্ক আরও বেড়ে যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে। শহর ছাড়তে শুরু করেন তারা।
সম্প্রতি জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উঠে আসে, ‘২০২১ সালের প্রথম ছয় মাসে বিস্ফোরক হামলায় ৫০১ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছন এক হাজার চারশো ৫৭ জন।’ আফগান সরকারি বাহিনী ও তালেবানের মধ্যে সংঘর্ষের সময় গোলাগুলিতে সাধারণ মানুষ নিহত হওয়ার সংখ্যা আরও বেড়েছে।
এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে রাজধানী কাবুলের চারপাশে শরণার্থী শিবির তৈরি করা হয়েছে। কান্দাহার ও অন্যান্য তালেবান অধ্যুষিত এলাকা ছেড়ে সাধারণ মানুষ এই সব শরণার্থী শিবিরেই আশ্রয় নিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত দেড় লাখের বেশি মানুষ ঠাঁই নিয়েছে এসব শিবিরে।
সান নিউজ/ এমএইচআর