আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের আসাম ও মিজোরাম রাজ্যের সীমান্ত নিয়ে সংঘর্ষে ছয় পুলিশ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অর্ধ-শতাধিক। সংঘাতের জন্য পাল্টাপাল্টি দোষারোপের পর এ নিয়ে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নালিশ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, আসামের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা মিজোরামের সঙ্গে সীমানায় ওই সংঘর্ষে আসামের ছয় পুলিশের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া সংঘর্ষে আরও ৬৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার আসামের চাচর জেলায় মিজোরাম সীমান্তবর্তী লায়লাপুর এলাকার দখল নিয়ে বিরোধ বাধে দুই রাজ্যের বাসিন্দাদের। বিরোধ গড়িয়েছে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যেও। টুইট করে তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে বিচার চেয়েছেন।
দুই রাজ্যের পুলিশ বলছে, আসাম ও মিজোরামের সীমান্তবর্তী লায়লাপুর অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে উভয় রাজ্য। মিজোরামের বাসিন্দারা লায়লাপুরের জমি অবৈধভাবে দখল ও আসামের স্থানীয় অধিবাসীদের উচ্ছেদ করছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ আসে আসাম রাজ্য প্রশাসনে।
সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসাম রাজ্য প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা লায়লাপুর সীমান্তে যান। সেখানে পৌঁছানোর পরপরই তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাথর নিক্ষেপ করেন মিজোরামের স্থানীয় বাসিন্দারা।
ক্রমশ পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকায় এক পর্যায়ে পুলিশ টিয়ারগ্যাস, লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘাতে সরকারি একাধিক কর্মকর্তাসহ আহতের সংখ্যা অর্ধ-শতাধিক ছাড়িয়েছে।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে সংঘাতের সেই ভিডিওচিত্র শেয়ার করেছেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা।
টুইটে তিনি বলেছেন, অমিত শাহজি, দয়া করে বিষয়টি খতিয়ে দেখুন। এটা এখনই বন্ধ হওয়া দরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকেও ওই টুইটে ট্যাগ করেছেন তিনি।
মাত্র দু’দিন আগেই শিলংয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি দিল্লি ফিরে যাওয়ার পরপরই সীমানা সংক্রান্ত বিবাদ নিয়ে সংঘর্ষে জড়াল আসাম ও মিজোরাম।
সান নিউজ/এফএআর