ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেন একক সিদ্ধান্তে যুদ্ধ শুরু করতে না পারেন সেজন্য মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। এ প্রস্তাবে প্রেসিডেন্টের যুদ্ধ শুরু করার ক্ষমতা খর্ব করা হল।
ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানী জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পর ইরান পাল্টা জবাব হিসেবে ইরাকের অবস্থিত আমেরিকার দুটি সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এ অবস্থায় দুদেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা দেখা দিলে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ ট্রাম্পের যুদ্ধ শুরুর একক ক্ষমতা কমানোর এই প্রস্তাব পাস করে।
বৃহস্পতিবার ডেমোক্র্যাট দল নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন বিরোধী ডেমোক্র্যাট দলের সদস্যরা। প্রস্তাবের পক্ষে পড়ে ২২৪ ভোট এবং বিপক্ষে পড়ে ১৯৪ ভোট। প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন মূলত ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানের সদস্যরা।
কংগ্রেসের সম্মতি ছাড়া ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীকে ব্যবহারের ক্ষমতার অবসান ঘটাতে এই পদক্ষেপে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এখন এই প্রস্তাব রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেটে উঠবে, যাতে এক কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে। ১৯৭৩ সালের যুদ্ধ ক্ষমতা আইন উদ্ধৃত করে প্রস্তাব আনে ডেমোক্র্যাটরা।
ডেমোক্র্যাটদের আনা প্রস্তাবটি কনকারেন্ট প্রস্তাব নামে পরিচিত। এই ধরনের প্রস্তাবের পাস হলেও প্রেসিডেন্ট তা মানতে বাধ্য কিনা তা আইনগতভাবে স্পষ্ট নয়। কংগ্রেসের অনুমোদন না পেলে ট্রাম্পকে ইরানের বিরুদ্ধে সব ধরনের সামরিক ব্যবস্থা বন্ধ রাখতে হবে-এমন একটি পদক্ষেপ নিতেই ভোট দিয়েছে প্রতিনিধি পরিষদ। প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, সোলাইমানিকে হত্যার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে আরও বেশি নিরাপদ করেছেন বলে বিশ্বাস করেন না তিনি। ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে ট্রাম্প এরই মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের সুরে কথা বললেও কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাটরা সোলাইমানির ওপর হামলা এবং এর পেছনে ট্রাম্প প্রশাসন যে যুক্তি দেখিয়েছে তাতে সন্তুষ্ট নয়।
প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, সোলাইমানিকে হত্যার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে আরও বেশি নিরাপদ করেছেন বলে বিশ্বাস করেন না তিনি।
সংবিধান অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপ পরিচালনার কর্তৃত্ব কংগ্রেস ও প্রেসিডেন্টের মধ্যে ভাগাভাগি করা। যুদ্ধ ঘোষণার ক্ষমতা রয়েছে কংগ্রেসের আর যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষায় সর্বাধিনায়ক হিসেবে প্রেসিডেন্ট সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করতে পারেন।