অনলাইন ডেস্ক : আফগানিস্তানে যুদ্ধ শেষে দেশে ফিরে যাচ্ছে সকল বিদেশি সেনা। কিন্তু প্রায় ২০ বছর পর বিদেশি সেনা চলে গেলেও দেশটিতে যুদ্ধ বন্ধ হচ্ছে না।
আগামী ১১ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণায় দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালেবান মাত্র ৮ সপ্তাহে প্রায় ২০০টি জেলা দখল করে নিয়েছে। প্রতিদিন দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে সরকারি বাহিনী ও তালেবানের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। আফগান সরকার চাচ্ছে তালেবান তাদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করুক। কিন্তু তালেবান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হচ্ছে না।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী গণমাধ্যম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তালেবানের অন্যতম মুখপাত্র সুহেল শাহীন আফগানিস্তানে কীভাবে যুদ্ধ বন্ধ হতে পারে সে বিষয়ে কথা বলেছেন। খবর আল জাজিরা ও তোলো নিউজের।
তালেবানের মুখপাত্র সুহেল শাহীন বলেন, তালেবান কেবল তখনই অস্ত্র ত্যাগ করবে যখন কাবুলে একটি নতুন সরকার গঠিত হবে, যে সরকার আমাদের (তালেবানের) কাছ এবং আফগানিস্তানের সকল নাগরিকের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। অন্যথায় আফগানিস্তানে শান্তি ফিরবে না।
তালেবান মুখপাত্র বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, তালেবান একচ্ছত্র ক্ষমতায় বিশ্বাসী না। কারণ, অতীতে যে সরকারই একচ্ছত্র ক্ষমতা ব্যবহার করেছে সে সরকার সফল হয়নি। এ কারণে আমরা আগের ফর্মূলায় সরকার গঠন করতে চাই না।
আফগান সরকারের সঙ্গে সংলাপ শুরুকে তিনি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন জানিয়ে বলেন, সরকার যুদ্ধবিরতি চায়। কিন্তু গনি সরকার ক্ষমতায় থাকতে যুদ্ধবিরতি মানে তালেবানের ‘আত্মসমর্পণ’। কোনো যুদ্ধবিরতির পূর্বে আফগানিস্তানে অবশ্যই নতুন সরকার গঠন হতে হবে। এটা করলে আফগানিস্তানে কোনো যুদ্ধ থাকবে না।
সাক্ষাৎকারে তালেবানের মুখপাত্র আরও বলেন, নতুন সরকারের অধীন নারীদের কাজের অনুমতি থাকবে, তারা স্কুলে যেতে পারবে এমনকি রাজনীতিতেও অংশ নিতে পারবে। তবে তাদেরকে অবশ্যই হিজাব অথবা স্কার্ফ পরিধান করতে হবে।
নারীদের অধিকারের বিষয়ে তালেবানের মুখপাত্র সুহেল শাহীন বলেন, নারীদের বাড়ির বাইরে বের হতে সার্বক্ষণিক সঙ্গে পুরুষসঙ্গী রাখতে হবে না। তালেবান নতুন দখলকৃত এলাকাগুলোতে নারীদের উপস্থিতির অনুমতি রেখেই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব প্রতিষ্ঠান আগের মতো চলার অনুমতি দিয়েছে।
তালেবানে হাইকমান্ডের আদেশ অমান্য করে কিছু তালেবান কমান্ডার নিপীড়নমূলক আচরণ করায় তাদেরকে তালেবানের সামরিক আদালতে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। যদিও কতজন এবং কোন প্রদেশে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে সেটা স্পষ্ট করেননি তিনি।
সাননিউজ/এমএইচ