আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিয়েতে যৌতুক হিসেবে বিরল প্রজাতির ২১ নখওয়ালা কচ্ছপ আর কালো ল্যাব্রাডর কুকুর দাবি করে বিপদে পড়েছেন ভারতের মহারাষ্ট্রের আওরঙ্গবাদের এক সেনা সদস্য। অদ্ভূত এই দাবি মেটাতে না পেরে পুলিশের দারস্থ হয় পাত্রীর পরিবার। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবককে আটক করে পুলিশ।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, ভারতের মহারাষ্ট্রের আওরঙ্গবাদের এক সেনা সদস্যের সাথে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে ঠিক হয় স্থানীয় এক তরুণীর। বিয়ে ঠিক হওয়ার সময় মেয়েটির পরিবার যৌতুক হিসেবে দুই লাখ রুপি আর ১০ গ্রাম সোনা দেন।
বাগদানের পর পাত্রের পরিবার পাত্রীকে স্থায়ী সরকারি চাকরি পাইয়ে দেয়ার কথা বলে মেয়েটির পরিবারের কাছ থেকে ১০ লাখ রুপি নেয়। তবে তারা মেয়েটিকে সরকারি চাকরি তো পাইয়ে দিতে পারেইনি উল্টো মেয়েটির পরিবারের কাছ থেকে ২১ নখওয়ালা কচ্ছপ, কালো ল্যাব্রাডর কুকুর আর একটি বৌদ্ধ মূর্তি দাবি করে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী বিরল প্রজাতির ২১ নখওয়ালা কচ্ছপের দাম ৫ থেকে ১০ লাখ রুপি। এই প্রজাতির কচ্ছপকে মনে করা হয় সৌভাগ্যের প্রতীক।
পাত্রীর পরিবার ওই বিরল প্রজাতির কচ্ছপ অনেক খুঁজেও পায়নি। পাত্রীর পরিবার কচ্ছপ খুঁজে না পাওয়ার বিষয়টি পাত্রের পরিবারকে জানালে তারা বিয়ে ভেঙে দেয়। বিয়ে ভেঙে দেয়ায় পাত্রের পরিবারকে দেয়া অর্থ আর সোনা ফেরত চায় পাত্রীর পরিবার। কিন্তু তা দিতে স্বীকৃতি জানালে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে পাত্রীর পরিবার।
এ ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তা সাধনা অভহাদ বলেন, যৌতুকের দাবি মেটাতে না পেরে কনের বাবা অসহায় হয়ে আমাদের কাছে এসেছিলেন। ওই পাত্র আর তার পরিবারের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৬ এবং ৩৪ ধারায় বিশ্বাসভঙ্গ এবং প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্তের পর আরও ধারা যোগ করা হতে পারে।
সান নিউজ/এফএআর