আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সব জল্পনা-কল্পনা বাদ দিয়ে অবশেষে অলিম্পিকের মশাল জ্বললো। জাপানের টোকিওতে বাংলাদেশ সময় বিকেল পাঁচটায় দর্শকহীন গ্যালারির সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
প্রতীকী একক অনুশীলন: করোনা বদলে দিয়েছে সবকিছু। অলিম্পিকে অংশ নেওয়া অ্যাথলেটরাও চালিয়েছেন একক অনুশীলনে। টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রতীকীভাবে ফুটিয়ে তোলা হলো সে দৃশ্য। জাপানের নার্স ও বক্সার তাসুবাদা মঞ্চের মাঝখানে গিয়ে একাই দৌড়ান বেশ কিছুক্ষণ।
এবারের আসরের নামকরণ হয়েছে ‘টোকিও অলিম্পিক-২০২০’। করোনায় এক বছর পিছিয়ে যাওয়া টোকিও অলিম্পিকের পর্দা নামবে ৮ আগস্ট। ২০৬ দেশের প্রায় সাড়ে ১১ হাজার অ্যাথলেট অংশ নিবেন এবারের অলিম্পিকে।
গত ২৫ শে মার্চ থেকে শুরু হয়েছে টোকিও অলিম্পিকের ১২১ দিনের টর্চ রিলে বা মশাল দৌঁড়। যা আজ ২৩ জুলাই ফুকুশিমায় শেষ হবে। মশাল দৌঁড়ে ১০ হাজার দৌড়বিদ অংশ নিচ্ছেন।
করোনার কারণে কোনো দর্শক ছাড়াই হয় টর্চ রিলের মূল অনুষ্ঠান। করোনাভাইরাস মহামারি জাপানে একটি জাঁকজমকপূর্ণ অলিম্পিকসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করার আশাকে একেবারে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে।
এর পরিবর্তে পুরো অনুষ্ঠানটির মেজাজ হবে ভাব-গম্ভীর, যা বর্তমান সময়ের জন্য যা উপযুক্ত।
মহামারির কথা চিন্তা করে অলিম্পকে অংশ নিচ্ছেন না অনেক নামিদামি তারকারা। এছাড়া কোভিড নিয়ম না মানলে শুধুমাত্র এবারের গেমস ভিলেজ থেকেই নয়, ভবিষ্যতের অলিম্পিকেও জায়গা হবে না বলে অ্যাথলেটদের হুঁশিয়ার করে দিয়েছে টোকিও অলিম্পিক কর্তৃপক্ষ।
এতকিছুর পরও এবার ঝুঁকিতে আছে টোকিও অলিম্পিক। ক্রমেই বাড়ছে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা। এবার অলিম্পিক ভিলেজেই অ্যাথলেট ও অফিসিয়ালদের শরীরে ধরা পড়ছে করোনাভাইরাস।
জাপানে বর্তমানে জরুরি অবস্থা চলছে। পুরো গেমসই জরুরি অবস্থার মধ্যে পরিচালিত হবে। ১২ জুলাই থেকে শুরু হওয়া জরুরী অবস্থা চলবে ২২ আগস্ট পর্যন্ত। অলিম্পিক গেমস ২৩ জুলাই শুরু হয়ে ৮ আগস্ট শেষ হচ্ছে। এরপর শুরু হবে প্যারালিম্পিক গেমস।
সান নিউজ/এফএআর