আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হজের সময় মক্কা নগরী ও এর আশপাশে হজের স্থানগুলোতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকবে বলে জানিয়েছেন সৌদির হজ বিষয়ক বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়া হজযাত্রীদের নির্ধারিত বাসে করে হজের স্থানগুলোতে যাতায়াত করতে হবে বলে নিরাপত্তা বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। খবর আরব নিউজের।
খবরে জানা যায়, করোনা সংক্রমণ রোধে এবার মসজিদুল হারাম থেকে পায়ে হেঁটে আরাফা প্রাঙ্গণ কিংবা আরাফা থেকে মুজদালিফা ও মিনায় যাতায়াত করা যাবে না বলে জানিয়েছে সমন্বিত নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল জায়েদ বিন আবদুর রহমান আল তোয়ায়ান।
হজযাত্রীদের যাতায়াতের বাসগুলো চর রঙের হবে। প্রত্যেক রং দিয়ে হজের স্থানের একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্দেশনা দেবে। হেঁটে চলার কোনো সুযোগ না থাকায় সবাইকে এসব গাড়ি করে হজের স্থানগুলোতে আনা-নেওয়া করা হবে।
মক্কা নগরীর প্রবেশ মুখে নিরাপত্তা বাহিনীর পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি থাকবে থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা। অনুমোদন ছাড়াই হজের স্থানে অনুপ্রবেশকারীদের সনাক্ত করতে এ ধরনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হজযাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তার পাশাপাশি বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী পথহারা হাজিদের পথের সন্ধান দেওয়া ও তাদের হারানো বস্তু সুরক্ষার সেবা দেবে।
এছাড়াও হাজিদের জন্য মসজিদুল হারাম পুরোপুরি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন হজ বিষয়ক নিরাপত্তা বাহিনীর সহকারি কমান্ডার মেজর জেনারেল মুহাম্মদ আল বাসসামি। আগামী ১৭ জুলাই সকাল ৭টা থেকে হাজিরা কাবা প্রাঙ্গণ তাওয়াফ করতে পারবেন। সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাতাফের মধ্যে প্রতি ঘণ্টায় চার হাজার থেকে ছয় হাজার হজযাত্রী তাওয়াফ করতে পারবেন বলে তিনি জানান।
গত ৫ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত হজের স্থানগুলোতে প্রবেশে নিষিদ্ধ করেছে সৌদির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণাল। এ সময় অনুমতি ছাড়া তাতে প্রবেশ করলে ১০ হাজার রিয়াল (দুই হাজার ৬৬৬ ডলার) জরিমানা গুণতে হবে। মসজিদুল হারামসহ মক্কার মিনা, মুজাদালিফা ও আরাফা প্রাঙ্গণ এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে।
সান নিউজ/এফএআর