আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সাত হাজার বন্দিকে মুক্তি দেয়ার শর্তে তালেবান তিন মাসের যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দিয়েছে বলে আফগানিস্তানের এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, তবে আফগান সরকারের আলোচক নাদের নাদেরি এ প্রস্তাবকে ‘বড় দাবি’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। তালেবান নেতারা দাবি করেছেন, তাদের নাম জতিসংঘের কালো তালিকা থেকেও বাদ দিতে হবে। এর প্রতিক্রিয়ায় সরকার এখনও কিছু জানায়নি।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ৫ হাজার তালেবান বন্দি মুক্তি পেয়েছিল এবং মনে করা হচ্ছে তাদের মধ্যে অনেকেই যুদ্ধের ময়দানে আবার ফিরে এসে সহিংসতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। বৃহস্পতিবার আফগান সেনারা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে একটি বর্ডার ক্রসিং তারা তালেবানের কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করেছে। কিন্তু তালেবানরা এই দাবি অস্বীকার করছে।
গত সপ্তাহের শুরুর দিকে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কন্দাহারের কাছে স্পিন বোলডাক ক্রসিংয়ের ওপর তালেবানের একটি সাদা পতাকা উড়ানো হচ্ছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সদস্যরা ২০ বছরের যুদ্ধের পর অবশেষে আফগানিস্তান ত্যাগ করছে। যে তালেবানকে পরাজিত করতে তারা দেশটিতে এসেছিল সেই তালেবানই এখন দ্রুতগতিতে দেশটির বিভিন্ন এলাকা দখল করে নিচ্ছে। এই যুদ্ধ নানাভাবে আফগানিস্তানকে বদলে দিয়েছে। ভবিষ্যতে কী ঘটতে যাচ্ছে তাই এখন দেখার অপেক্ষা।
২০০১ সালে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন বাহিনীর হাতে ক্ষমতাচ্যুত হয় তালেবান। এরপর দেশটিতে গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় এবং একটি নতুন সংবিধান গৃহীত হয়। কিন্তু তালেবান এরপর এক দীর্ঘ বিদ্রোহী তৎপরতা শুরু করে। ক্রমান্বয়ে তারা আবার শক্তি সঞ্চয় করে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনীকে আরও বেশি করে সংঘাতে জড়িয়ে ফেলে। কিন্তু এখন মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তান থেকে তাদের সবশেষ সৈন্যদের প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।
মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর থেকে আফগান সরকার ও তালেবানের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারন করে। তালেবান জানিয়েছে, তারা ইতোমধ্যে আফগানিস্তানের ৮৫ ভাগ এলাকা দখল করেছে। যদিও এ পরিসংখ্যান নিয়ে বিতর্ক আছে। অন্যান্য পরিসংখ্যান বলছে তালেবান আফগানিস্তানের ৪শ জেলার মধ্যে এক-তৃতীংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। আফগান সেনারা দেশটিতে তালেবানদের অগ্রগতি থামাতে হিমশিম খাচ্ছে।
সাননিউজ/এমএইচ