আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানে তুরস্ক সামরিক উপস্থিতির সময় সম্প্রসারিত করলে তুরস্কের সৈন্যদের দখলদার বলে মনে করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে ‘জিহাদ’ শুরু করবে বলে মঙ্গলবার হুঁশিয়ার করে দিয়েছে তালিবান।
এই সতর্ক বার্তাটি এমন এক সময়ে আসলো যখন সমালোচকরা বলছেন যে তালিবান তাদের শান্তির প্রতিশ্রুতি লংঘন করে আফগানিস্তানকে সামরিক দখলে নেবার পরিকল্পনা করছে। আর এর ফলে সেখানে পুর্ণাঙ্গভাবে গৃহযুদ্ধের আশংকা দেখা দিয়েছে।
আগামি মাসের শেষ নাগাদ আমেরিকান ও নেটো জোটের সব সৈন্য প্রত্যাহারের পর যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ককে কাবুলের বিমানবন্দরের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বলেছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়েপ এরদোয়ান শুক্রবার বিস্তারিত কিছু বলেননি তবে এটুকু বলেছেন যে বিমান বন্দরটির ব্যবস্থাপনা এবং সুরক্ষিত রাখার সুযোগের ব্যাপারে তিনি ওয়াশিংটনের সঙ্গে একমত।
তালিবান এই সমঝোতাকে “তিরস্কারযোগ্য” বলে এর নিন্দে করেছে এবং দাবি করেছে তুরস্ক যেন তার সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করে দেখে। গোষ্ঠীটি সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, “ আমরা আমাদের নিজেদের দেশে যে কোন অজুহাতে যে কোন দেশের বিদেশি বাহিনীর অবস্থানকে দখল বলে মনে করি”। “ এই দখলের সম্প্রসারণ আমাদের দেশের ভেতরে তুরস্কের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আপত্তি এবং বৈরিতার আবেগ সঞ্চার করবে এবং আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নষ্ট হবে”।
কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সুরক্ষা এবং নির্ঝঞ্ঝাট ব্যবস্থাপনা, কুটনৈতিক মিশন সংরক্ষিত রাখা এবং কাবুলের বাইরে কর্মরত বিদেশি সংস্থাগুলোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মঙ্গলবার কাবুলের বাইরে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত চার জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
সোমবার বিকেলে মন্ত্রীসভার এক বৈঠক শেষে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হুলুসি আকার সংবাদাতাদের বলেন যে বিমান বন্দরটি পরিচালনার ব্যাপারে তুরস্ক বেশ কিছু বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহমত। আকার বলেন, “বিমান বন্দর যদি চালু না থাকে তা হলে বিভিন্ন দেশ সেখান থেকে তাদের কুটনৈতিক মিশন প্রত্যাহার করে নেবে”। অনুমান করা হচ্ছে আফগান রাজধানীতে যুক্তরাষ্ট্র দূতবাসের বিশাল এলাকা পাহারা দেয়ার জন্য সেখানে শত শত আমেরিকান সৈন্য থেকে যাবে। -সূত্র রয়টার্স
সান নিউজ/এমএম