আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন ও ন্যাটোর সেনা প্রত্যাহারের মধ্যেই আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশ এলাকা দখলে নেওয়ার দাবি করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান।
শুক্রবার (৯ জুলাই) মস্কোয় তালেবান প্রতিনিধি দল জানায়, তারা আফগানিস্তানের ৩৯৮টি জেলার মধ্যে ২৫০টি নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়েছে। যদিও এমন দাবিকে মিথ্যা প্রচারণা অ্যাখা দিয়েছে আফগান সরকার।
রাশিয়ার মস্কোয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে তালেবান প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেয়। রুশ সরকার তালেবানকে আলোচনার জন্য মস্কোতে আমন্ত্রণ জানায়। পরে তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ ইসলাম মুজাহিদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইরানের সীমান্তবর্তী কালা শহর এখন আমাদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে’।
আফগান সরকার তালেবানের দাবি সরাসরি অস্বীকার না করলেও কৌশলগত শহরটি পুনরুদ্ধারে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা জানায়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তারেক আরিয়ান এএফপিকে জানান, ‘কালা শহরে আমাদের সীমান্ত নিরাপত্তা ইউনিটসহ আফগান বাহিনী অবস্থান করছে। অবশ্যই আবারও আমাদের নিয়ন্ত্রণে আসবে’।
এদিকে মস্কোয় তালেবান প্রতিনিধি দলের সদস্য শাহাবুদ্দিন দেলওয়ার বলেন, 'আফগানিস্তানে যেন জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস কোনওভাবে সক্রিয় না হতে পারে এ বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিব। এছাড়া আমাদের ভূমি প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য ব্যবহার করবো না’।
তালেবান ও আফগান সরকারের বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা আগেই কথা বলেন, 'মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যেই আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক মিশন শেষ হচ্ছে। তবে কাবুলের পক্ষে পুরো দেশ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে নাও হতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।
শুক্রবার রাশিয়ার তরফে বলা হয়েছে, আফগান-তাজিক সীমান্তের দুই-তৃতীয়াংশই নিয়ন্ত্রণ করছে তালেবান। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, আফগানিস্তানের সব পক্ষকেই ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছে মস্কো।
এদিকে একের পর এক এলাকা দখলে ঠেকাতে তালেবানদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিচ্ছেন অনেক আফগান নারী।
সাননিউজ/এএসএম