আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর বৃহস্পতিবারই শুরু হয়েছে নতুন মন্ত্রিসভার পথ চলা। তবে একটি রিপোর্ট বলছে, ৭৮ জনের এই মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া মন্ত্রীদের ৪২ শতাংশেরই বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলা। এছাড়া মন্ত্রিসভার ৯০ শতাংশ মন্ত্রীই কোটিপতি।
অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর)-এর প্রকাশিত রিপোর্টে এই চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে। এমনকি মন্ত্রীদের মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ সম্পর্কিত মামলাও রয়েছে।
৭৮ মন্ত্রীর এই ক্যাবিনেটে শিক্ষিত ও তরুণ সংসদ সদস্যদের স্থান দেয়া হয়েছে। এডিআর’র রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এই প্রথমবার ভারতের প্রতিটি প্রান্ত থেকে সংসদ সদস্যদের মন্ত্রিসভায় স্থান দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এডিআর’র রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ৭৮ জন মন্ত্রীর মধ্যে ৩৩ জন তথা ৪২ শতাংশ মন্ত্রী তাদের বিরুদ্ধে থাকা ফৌজদারি মামলার কথা স্বীকার করেছেন। এর মধ্যে ২৪ জন মন্ত্রী অর্থাৎ ৩১ শতাংশের বিরুদ্ধে গুরুতর মামলা রয়েছে। এই সব মামলার মধ্যে রয়েছে হত্যা, হত্যা চেষ্টা, লুটতরাজের মতো অপরাধও।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লার বিরুদ্ধে গুরুতর ৯টি মামলা রয়েছে। এছাড়া ৩৮টি অন্য মামলাও রয়েছে। কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার পাঁচ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচনের সময় অবৈধভাবে আর্থিক সুবিধা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে সাতজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এছাড়া ৭৮ মন্ত্রীর মধ্যে ৭০ জন মন্ত্রী অর্থাৎ ৯০ শতাংশ মন্ত্রী কোটিপতি। এরমধ্যে চার মন্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ ৫০ কোটি টাকারও বেশি!
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, আটজন মন্ত্রীর সম্পদ রয়েছে এক কোটি টাকারও কম। প্রতিমা ভৌমিকের মোট সম্পদ রয়েছে ৬ লাখ টাকা। সেই হিসেবে তাকে ‘দরিদ্র’ মন্ত্রী বলা যেতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ভেঙে উত্তরবঙ্গ নামে আলাদা রাজ্যের দাবি তোলা বিজেপির জন বার্লার নামে রয়েছে ১৪ লাখ টাকার সম্পত্তি।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
সাননিউজ/এমএইচ