আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের দেশ এসওয়াতিনি। তবে সোয়াজিল্যান্ড নামে পরিচিত। দেশটিতে হঠাৎ রাজনৈতিক সংঘাত শুরু হয়েছে। এতে দেড় হাজারের বেশি বাংলাদেশি বিপদে পড়েছেন। নিঃস্ব শতাধিক।
জুনের শেষ সপ্তাহে স্থানীয়রা প্রথমবারে মতো গণতন্ত্রের দাবিতে ছোট এই রাজতন্ত্রে বিক্ষোভ শুরু করেন। সরকার গণতন্ত্রকামীদের ওপর চড়াও হলে সহিংসতা ও লুটপাট শুরু হয়। ওই সহিংসতা ও লুটপাটের শিকার হওয়া বাংলাদেশিরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সোয়াজিল্যান্ডে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের রোষে পড়ে নিজেদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটতরাজের ঘটনায় তারা উদ্বিগ্ন। সহিংসতা ও লুটপাটের শিকার হয়ে শতাধিক বাংলাদেশি প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে কমপক্ষে ৫০০ বাংলাদেশিদের কিছু দিনের জন্য হলেও দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে সরকারের কাছে ‘সেফ এক্সিটের’ ব্যবস্থার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। অথবা বাংলাদেশিরা যাতে দক্ষিণ আফ্রিকার ভিসা পেতে পারেন, তার ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আফ্রিকার শেষ রাজতন্ত্র সোয়াজিল্যান্ডের গণতন্ত্রকামীদের দমনের জন্য সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে। লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, সে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে রাজতন্ত্রবিরোধী অন্তত ২০ জন নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।
বাংলাদেশি তরুণ বদরুজ্জামান চৌধুরী ২০১৬ সাল থেকে সোয়াজিল্যান্ডে থাকছেন। তিনি জানান, সোয়াজিল্যান্ডে তাদের ৪টি ফিলিং স্টেশন রয়েছে। এগুলো সহিংসতার সময় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা নিজেদের চেয়ে পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। যেভাবে ভাঙচুর ও লুটতরাজ হয়েছে, তাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পরিবার–পরিজন নিয়ে তারা সোয়াজিল্যান্ডের প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা যেতে চান।
প্রিটোরিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার নুর-ই হেলাল সাইফুর রহমান বলেন, সোয়াজিল্যান্ডে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা যাতে দক্ষিণ আফ্রিকার ভিসা পেতে পারেন, সেজন্য দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে দুই দিন ধরে সেখানকার পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো।
সান নিউজ/এমআর