সান নিউজ ডেস্ক : সাত বছর আগে নারীদের ২০০ জোড়া পুরাতন জুতা চুরি করে গ্রেফতার হয়েছিলেন এক জাপানী পুরুষ। এবার একই অপরাধের দায়ে দ্বিতীয়বারের মতো গ্রেফতার হলেন তিনি। সেই সাথে আবারও নিজের সংগ্রহের ১৩৯ জোড়া জুতাও হারালেন।
১০ জুন জাপানের মুরাকামিতে স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশী চালায় পুলিশ। সেখানেই তারা জনৈক ব্যক্তির এই অস্বাভাবিক সংগ্রহের কথা জানতে পারেন। দেখা যায় বিশাল ত্রিপলের উপর হাই-হিল, পাম্প শু থেকে ধরে স্যান্ডেল থরে থরে সাজানো রয়েছে পরিপাটিভাবে। ৪৭ বছর বয়সী অফিসকর্মী সুনেহিতো ইসোবে'র অদ্ভুত এক নেশার কথা জানতে পারেন তারা; তা হলো নারীদের ব্যবহৃত জুতা সংগ্রহ করা। মজার ব্যাপার হলো, সাত বছর আগে একই অপরাধে গ্রেফতার হওয়ার সময় তার কাছ থেকে ২০০ জোড়া জুতা জব্দ করেছিল পুলিশ।
নজরদারি করার কাজে নিয়োজিত একটা ক্যামেরা যদি ইসোবের এহেন চুরি ধরে না ফেলতো, তাহলে তিনি হয়তো এই কাজ আরও বহুদিন চালিয়ে যেতেন এবং নিজের সংগ্রহ আরও ভারি করতেন। ২ মার্চ মুরাকামির একটা অফিস বিল্ডিং এ ঢুকে ৫০০ ইয়েন মূল্যের একজোড়া জুতা চুরি করার সময় ক্যামেরায় আর চেহারা ধরা পড়ে। সাম্প্রতিককালে অফিস থেকে নারীদের জুতা গায়েব হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতেই কোম্পানিটি এই ক্যামেরা লাগিয়েছিল। ভিডিও দেখার সাথে সাথেই পুলিশ বুঝতে পারে যে এই ব্যক্তি নতুন কেউ নন। তাই তারা তার বাড়িতে হানা দেন এবং নারীদের জুতার এই দারুণ সংগ্রহশালা দেখতে পান।
চুরির সন্দেহে এবং অনুপ্রবেশের দায়ে সুনেহিতো ইসোবেকে গত ১৯ মে গ্রেফতার করা হয় এবং ৯ দিন পর তার নামে মামলা করা হয়। সকল প্রমাণাদি তার সামনে উপস্থাপন করায় ইসোবের পক্ষে নিজেকে নির্দোষ দাবি করার কোনো সুযোগই ছিলনা।
এরকম অদ্ভুত কাজের কারণ হিসেবে ইসোবে বলেন, 'আমি ছোট থেকেই নারীদের ব্যবহৃত জুতার দিকে আকৃষ্ট ছিলাম। আমি অনেক বছর ধরেই এসব জুতা চুরি করছি। আমি এটা করেছি নিজের যৌন বাসনা মেটানোর জন্য, কারণ গন্ধের ব্যাপারটা এখানে গুরুত্বপূর্ণ।'
২০১৪ সালে তার বাসার কার্ডবোর্ড বাক্সে ২৪৪ জোড়া জুতা পাওয়া যায়, যার মধ্যে ছিল ২০০ জোড়া নার্স শু এবং ৪৪ জোড়া হাই হিল। এগুলোর অর্ধেকই তিনি বিভিন্ন ডেন্টাল হাসপাতাল, নার্সিং হোম ও মেডিকেল প্রতিষ্ঠান থেকে চুরি করেছিলেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তি জানান, এবারের ১৩৯ জোড়া জুতার বেশিরভাগই তিনি বিভিন্ন নারীদের কাছ থেকে চুরি করেছেন এবং বাকিগুলো সেকেন্ড হ্যান্ড জুতার দোকান থেকে বা অনলাইনে কিনেছেন।
ইসোবে আরও বলেন, 'আমার মনে হয়, আমি এই কাজটা আবার করেছি কারণ আগে এই কাজের মধ্যে যে উত্তেজনা পেয়েছিলাম, সেটা ভুলতে পারিনি। এই কাজের অপরাধীরা জানেনা যে ভিক্টিমের মনে কি চলছে, তাই আমাকে ভিক্টিমদের অনুভূতি বুঝতে হবে।'
পুলিশ উদ্ধারকৃত জুতাগুলো প্রদর্শন করার পর এখন পর্যন্ত মাত্র ১৩ জোড়া জুতার মালিক এগুলো ফিরে পেতে চেয়ে আবেদন করেছেন। সূত্র- অডিটি সেন্ট্রাল।
সান নিউজ/এসএম